আমিরুল ইসলাম : বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে শুধু ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর নির্ভর না করে পুঁজিবাজারের উপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে পুঁজিবাজারে কেমন প্রণোদনা দেয়া প্রয়োজন জানতে চাইলে রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহমদ আল কবীর বলেছেন, পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য আর্থিক প্রণোদনার চেয়ে ভালো কোম্পানিগুলোকে বাজারে নিয়ে আসার পরিবেশ তৈরি করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ পরিষ্কার লক্ষ্যমাত্রা থাকা। পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করার জন্য ভালো কোম্পানিগুলোকে বাজারে নিয়ে আসা উচিত। সরকারের নিজের ১৮-১৯টা শেয়ার আছে, সবাই জানে এগুলো খুব ভালো। বড় বড় ব্যাংকগুলোকে শেয়ার অফ লোড করে বাজারে নিয়ে আসা উচিত। এ বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত আছে। বহুবারই এ সিদ্ধান্ত হয়েছে, কিন্তু এটা আসে না। সবচেয়ে বড় প্রণোদনা হবে বাজারের উত্থান করতে ভালো কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনার পরিবেশ তৈরি করা এবং খারাপ শেয়ারগুলোকে উৎসাহিত না করার নীতি যেন পরিষ্কারভাবে ঘোষিত হয়। পুঁজিবাজারে উৎসাহিত করার জন্য আইসিবির মাধ্যমে আর্থিক প্রণোদনা দেয়া যেতে পারে। কিন্তু এগুলো খুব বেশি না বাড়িয়ে চীনের সঙ্গে যে পার্টনারশিপ হয়েছে এটাকে কাজে লাগিয়ে তাদের কীভাবে আরো ব্যবহার করা যায়, মার্কেটে কীভাবে তাদের পার্টিসিপেশন বাড়ানো যায় এটার জন্য একটা কৌশল ওয়ার্কআউট করে বাস্তবায়ন করার একটা পরিকল্পনা বাজেটে থাকতে হবে। সার্বিকভাবে আমাদের পুঁজিবাজারের ব্যবস্থাপনার মূল্যায়ন করা উচিত এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করা উচিত। মূল্যায়ন করে পরিবর্তন করলে হয়তো একটা ভালো ফলাফল আসতে পারে। আর্থিক প্রণোদনার চেয়ে এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।