আনিস তপন : মাতৃমৃত্যু হার নিয়ন্ত্রণ, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বৃদ্ধি, গর্ভকালীন জটিলতার ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োজনীয় জরুরী প্রসুতি সেবা নিশ্চিত করতে ‘ডিমান্ড সাইড ফাইনান্সিং মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার’ স্কীম চালু করেছে সরকার। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহেদ মালিক।
গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত পরীক্ষা ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এজন্য দেশের ৫৯টি জেলা সদর হাসপাতাল, ৬৮ টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ১৩২ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সমন্বিত জরুরী প্রসূতি সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন কর্মসূুিচর অধীনে ইতোমধ্যে ৩ হাজার মিডওয়াইফ তৈরির লক্ষ্যে মিডওয়াইফারি চালু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬শ নার্স ৬ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ নিয়ে মিডওয়াইফ এর সনদ নিয়েছেন। য়ারা সবাই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হার কমেছে। ২০১৭ সালে গর্ভকালীন মাতৃমৃত্যুহার প্রতি লাখে ১৭৬ জন হলেও বর্তমানে তা ১৭২ জন। ২০১৫ সালে প্রতি হাজার নবজাতকের মধ্যে মৃত্যুহার ২০ জন হলেও এখন তা কমে ১৮ দশমিক ৪ ভাগ হয়েছে।
স্বাস্থ্যখাতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি এখাতে বিনিয়োগ ও মনিটরিং এর ফলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যসূচকের উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করে জাহেদ মালিক বলেন, বর্তমান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সেবা বাড়াতে আরো জনবল নিয়োগ, নতুন হাসপাতাল নির্মাণ, শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ঔষধপত্র সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, মাতৃস্বাস্থ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২৮ মে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ পালনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তখন থেকেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। সম্পাদনা : কাজী নুসরাত