সুজিৎ নন্দী : পরিকল্পিত নগরায়ণের অংশ হিসেবে সরকারের ২৫টি পরিকল্পনাও ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের কাজ চলছে। একই সঙ্গে ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৬’ আওতায়ই আইন প্রণয়ন করা হয়। ফলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প আধুনিকায়নে সরকারের স্বদিচ্ছা বিকশিত হচ্ছে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্ধতন কর্মকর্তা বলেন, অতীতে অপরিকল্পিত হলেও বর্তমানে কক্সবাজারে যে স্থাপনা নির্মান হচ্ছে তা পরিকল্পিত। শুধু বড় বড় হোটেল থাকলে পর্যটন শিল্প এগোবে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশে মতো পর্যটকদের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা তা কক্সবাজারে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা জানান, এখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভাসহ কর্তৃপক্ষের আওতাধীন অন্যান্য পৌরসভার কোন নির্মাণ কাজ বা খনন কাজের কর্তৃপক্ষ অনুমতি প্রদান না করলে তা বেআইনী ও অকার্যকর বলে গণ্য হচ্ছে। এসব স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কোন নকশা, জলাধার খনন বা পুণ:খননের অনুমোদন প্রদান করতে পারবে না। তিনি আরো জানান, এ আইন অমান্য করার কারণে দুই বছরের কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। মহাপরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ শর্ত সাপেক্ষে ইমারতের নকশা, ইমারত নির্মাণ, পুকুর বা জলাধার খনন সংক্রান্ত অনুমোদন দিতে পারবে। কর্র্তৃপক্ষের কোন কাজে বিঘœ সৃষ্টি করা বা কোন সীমানা চিহ্ন অপসারণ করার কারণে এক বছরের কারাদন্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার করা হয়েছে একাধিক মোটেল ব্যবসায়িকে। তবে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ি নেতাদের মতে, সমন্বয়হীনতার কারণে পর্যটন শিল্প পরিকল্পিতভাবে এগোতে পারছে না।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম রিহ্যাব সভাপতি কাউয়ুম চৌধুরী বলেন, পরিকল্পিতভাবে নগরায়নের জন্য সময় প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে কক্সবাজার বড় একটি ব্যাপার। এখানে রিহ্যাব সদস্যরা কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে। তবে বিষয়টি সময়ের ব্যাপার।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ, সবুজের সমারোহ, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও বৌদ্ধ বিহার পর্যটনের সবকিছুই আছে পর্যটন অঞ্চল কক্সবাজারে। আর এ কারণেই প্রতিবছর ১৮ লাখের অধিক পর্যটক ছুটে আসেন এখানে। তবে পর্যটকরা ছুটে আসলেও এখানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা গড়ে ওঠেনি।
হোটেল ওনারর্স এসোসিয়েশনের কক্সবাজারের একাধিক মুখপাত্র জানান, হোটেল-মোটেল রয়েছে পর্যাপ্ত। তবে পরিবেশের কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। নিরাপত্তার কারণে দেশীয় পর্যটক আসাও কমে গেছে।