কেএম নাহিদ : অব্যবস্থাপনায় গত ১০ বছরে পাটখাতে সরকারে গচ্চা গেছে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। এই সমস্যা সমাধানে জুটমিল কপোরেশনকে বিপুল সম্পদের বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চ্যানেল ২৪
সরকারি পাটকলগুলো চলছে ৫০- ৬০ বছরের পুরোনো যন্ত্রপাতিতে। ফলে প্রায়ই নষ্ট পড়ে থাকে বেশির ভাগ তাঁত। ২২ টি কলো মধ্যে গেলো বছর বন্ধ ছিলো অর্ধেকের ও বেশি। ফলে উৎপাদন ক্ষমতা কমেছে অধের্কের বেশি। সংকট ছিলো দক্ষ শ্রমিকের। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বিশ্লেষন বলছে ১১ শত কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন এবং বিক্রি করতে কাঁচা পাট ক্রয়, শ্রমিক, বিদ্যুৎ, জ¦ালানি খরচ হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
অর্থাৎ ভতুর্কি গেছে পৌনে ৪ শত কোটি টাকা। অথচ কারখানা বন্ধ থাকলে নির্ধারিত খরচের বাইরে কেবল গুনতে হত ২৭ হাজার স্থায়ী শ্রমিকের বেতন ভাতা। যাতে ভতুর্তি কম লাগত অন্তত পৌনে ২ শত কোটি টাকা। তাহলে কারখানা চালানো যুক্তিতা কোথায়। পাটকল চালানোর ক্ষেত্রে বাজার চাহিদার কথা মাথায় রাখেনি বিজেএমসি। গেলো তিন বছেরে পরিসংখ্যান বলছে উপাদিত পণ্যের বড়ো একটা অংশ বিক্রি করা যায়নি চাহিদা না থাকায়। ফলে অবিক্রিত পণ্যের মজুদ বেড়েছে ৩ গুন। যার বর্তমান বাজার মূল্য পৌনে ৭শত কোটি টাকা। আর এসব অব্যবস্থাপনা পুষতে গিয়ে গেলো ১০ বছরে সরকারের কাছ থেকে বিজেএমসি নিয়েছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। অথচ তাদের অধিনে গচ্চিত থাকা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার স্থায়ীসম্পদ ঠিক মতে কাজে লাগানো গেলে সংকট কমতে পারত।
অর্থনীতিবিদ ও সিপিডি’র পরিচালক, ড খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, পাটকল বন্ধ বা খোলা রাখার পর্যায়ে নেই। তারা এখন গুটিয়ে যাওয়ার পর্যায়ে চলে গেছে। বিজেএমসি এখন চলছে যে পরিমানে ঋন দিয়ে তা তার ৫৭ শতাংশ জমি ব্যবহার করে করলেই সম্ভব। বাকি ৪৩ শতাংশ জমি এখনই আর ব্যবহার করা দরকার নেই। তাদের জমিতে ইকোনোমিক জোন করা যেতে পারে
বিজেএসসি চেয়ারম্যান বলেন, বাস্তবতা হলো, পদ্ধতিগতো ভাবে আমাদের এখন কারেকশনে চলে আসতে হবে। যদি কাজ না থাকে বসে বসে বেতন নেয়ার সিষ্টেম চালু থাকে তবে শ্রমিকদের মধ্যে কর্মক্ষমতা কমে যাবে। চাহিদা অনুযায়ী যদি উৎপাদন করা যেতে তাহলে গুদামে অবিক্রিত ৬শ/ ৭ শত টাকার পণ্য পড়ে থাকতো না। কায়কোবাদ মিলন