রমজান আলী : আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সব চেয়ে বেশি জোর থাকবে কৃষকরা যাতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়। এছাড়া খেলাপি ঋণ আদায় কিছু সুনিদিষ্ট পরিকল্পনাতো থাকবেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু পদক্ষেপ বাজেটের প্রস্তাবনা দেয়া থাকবে। রেমিটেন্স ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি এবং আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রক সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতের মূলধন পর্যাপ্ততা ও ব্যাংকিং খাতে পুঞ্জীভূত মন্দঋণ কমাতে কিছু প্রস্তবনা থাকবে। এছাড়া দেশের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে ঋণ ও আমানতের সুদের হার এক অংকে নামিয়ে আনার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কীভাবে এক সাথে কাজ করতে পারে। এছাড়া ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধির ফলে সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি বিষয়ে কীভাবে আরো সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়।
এব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় মিলে বাজেটের প্রস্তবনা করে থাকে। তবে সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকে কিছু নিদিষ্ট প্রস্তাবনা থাকে। এবারেও তাই থাকবে। তবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়বে, এমন কিছু প্রস্তাবনা থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংকের। এছাড়া কৃষকরা যাতে বেশি সুযোগ-সুবিধা পান, সেই বিষয়ে নজর থাকবে বেশি। এছাড়া খেলাপি ঋণ তো রয়েছেই।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনের আগে জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে সরকারকে তৎপর থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বাজেটে সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে বরাদ্দ দিতে হবে। যাতে প্রান্তিক মানুষ এ সুবিধা পায়। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান