ঢেউটিনের জায়গা নেবে বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত পাটের করোগেটেড সীট
মতিনুজ্জামান মিটু : বছর সাতেক আগে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) কারিগরী উইং এর বিজ্ঞানীরা সবাইকে অবাক করে দিয়ে উদ্ভাবন করেন সম্ভাবনাময় এই করোগেটেড সীট। গতমাসে এক অনুষ্ঠানে পাট গবেষণার এ সাফল্য এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ অনেককেই অবগত করানো হয়।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান টেউ টিনের বিকল্প পাটের তৈরী করোগেটেড সীড এবং অন্যান্য পাট পণ্যকে সম্ভাবনাময় উল্লেখ করেন এবং এসব পণ্যের প্রসারের জন্য ব্যবসায়ীদের একটি সভা করার প্রয়াজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
এদিকে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড. মুবারক আহমেদ খানও পাট দিয়ে পরিবেশ বান্ধব এই অদ্ভুত আবিস্কারের বিষয় তুলে ধরেন। পাট দিয়ে তৈরী তাই এর নাম দেন তিনি ‘জুটিন’। পাটের জট ও রাসায়নিকের সংমিশ্রনে মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই তৈরী করা যায় জুটিন। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে করলে উৎপাদনের সময় আরো কম লাগবে মনে করেন এই বিজ্ঞানী। এটি তৈরীর জন্য দরকার হবেনা বিশেষ কোনো কারিগরীর ও গ্যাস, বিদ্যুত এবং অন্যকোনো জ্বালানীর। জুটিনের ব্যবহার বাড়লে সাশ্রয় হবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মূদ্রা। যা টিন তৈরীর উপাদন লেড(সীসা) ও জিঙ্ক(দস্তা) আমদানীতে ব্যয় হয়। ড. মুবারক আহমেদ খানের বিশ্বাস রোদ, বৃষ্টি ও ঝড় মোকাবেলা করে সহজেই শত বছর টিকে থাকবে। এতে টিনের মতো মরিচা ধরবেনা। টিনের চেয়ে মজবুত জুটিন বদলে দিতে পারে বাংলাদেশকে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সোনালী আঁশ বলে খ্যাত পাটের উন্নয়নে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করে চলেছেন। বছর সাতেক আগে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের কারিগরী উইং এর একদল বিজ্ঞানী উদ্ভাবন করেন সম্ভাবনাময় এই করোগেটেড সীট।