কুড়িগ্রামে বোরো আবাদে লোকসান, ৫শ কোটি টাকা ঋণের ভারে হারিয়ে গিয়েছে কৃষকের ঈদ আনন্দ
অনিরুদ্ধ রেজা ও শাহনাজ পারভীন : ধানের দাম কম। লোকসান মাথায় নিয়ে মহাজনের ঋণের সুদ করতে হবে। এসব ভাবনায় আনন্দের ঈদ অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে। ধারদেনা ও ঘামঝরানো ফসলের দরপতনে চরম হতাশা বিরাজ করছে কৃষক পরিবারে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বোরো মৌসুমে কুড়িগ্রামে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৪ হাজার ৪শ ৮২ হেক্টর জমিতে। অর্জিত হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৭শ ৯১ হেক্টর ।
সূত্র জানায় চলতি মৌসুমে প্রতিমণ বোরো ধান উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে ৮শ ৮০ টাকা। উৎপাদিত প্রতিমণ ধানের বাজারমূল্য ৪৫০/৪৮০ টাকা। এতে প্রতিমণে লোকসান গুণতে হচ্ছে ৪শ টাকা। এ হিসেবে উৎপাদিত ৫ লাখ মে. টন ধানে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫শ ৫০ কোটি টাকা।
খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, উৎপাদিত ৫ লাখ মে. টন ধানের বিপরীতে সরকার কুড়িগ্রাম থেকে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ হাজার ৩০৮ মে. টন। এবার প্রতিকেজি ধানের সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ টাকা আর প্রতি কেজি চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ টাকা।
সরকারিভাবে ধান ও চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অতি নগণ্য হওয়ায় স্থানীয় বাজারে ধানের দাম মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে জানান কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মহিবুল হক জানিয়েছেন, আমরা কৃষি বিভাগের কাছ থেকে পাওয়া তালিকা অনুসরণ করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছি।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান বলেন, চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান