এবার মহেশখালিতে সৌদি বিনিয়োগে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হবে
শাহীন চৌধুরী: দেশে নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের এই পর্যায়ে এবার কক্সবাজারের মহেশখালীতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি নির্ভর ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও সৌদি আরবের ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি ফর ওয়াটার এন্ড পাওয়ার প্রজেক্ট (এসিডব্লিউএ) যৌথভাবে এই বৃহৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফরকালে সেখানকার কোম্পানির সঙ্গে কেন্দ্রটির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ দিনের সফরে গত ২৮ মে জাপানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। আজ বিকালে ৪দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
বিপিডিবি’র কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছরের মার্চে সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসেন। ওই সময় প্রতিনিধি দলের কাছে বিভিন্ন খাতের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের সুবিধা তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনাও উপস্থাপন করা হয়। ওই সময় সৌদির প্রতিষ্ঠান এসিডাব্লিউএ মহেশখালীতে এলএনজি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখায়। পাশাপাশি একই জায়গায় স্থলভাগে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই) সঙ্গে বিপিডিবি’র যে পরিকল্পনা রয়েছে, সেখানেও বিনিয়োগ করতে চায় এসিডব্লিউএ।
সূত্রে জানা যায়, সমঝোতা স্মারকের খসড়া অনুযায়ী, ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্রটির ভূমি উন্নয়ন ও কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে এসিডব্লিউএ। আর্থিক জোগানও দেবে ওই কোম্পানি। এছাড়া, বিপিডিবির সঙ্গে যৌথভাবে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কাজ করবে কোম্পানিটি।
এ প্রসঙ্গে বিপিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ বলেন, এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সৌদির একটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা কোম্পানিটির সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের সময় ওই কোম্পানিটির সঙ্গে একটি এমওইউ সই হওয়ার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সৌদি বিনিয়োগ অনেকটাই নিশ্চিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। সম্পাদনা : ইকবাল খান