ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বললেন, এক মাসে কৃষি যন্ত্রপাতি কিনে কৃষকের হাতে পৌঁছে দেওয়া প্রায় অসম্ভব
আশিক রহমান : এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেছেন, সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ দিয়ে কৃষকের ধানের উৎপাদন খরচ কমানোর চেষ্টা করে থাকে সরকার। উৎপাদন খরচ কমানো গেলে কৃষকের সংকট অনেকটা কমে আসবে। তিন হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বাজেটে কৃষি উপকরণ কিনে কৃষকের হাতে যথাযথভাবে পৌঁছাতে পারলে এর সুফল পাওয়া যাবে। তবে দেখতে হবে তা যথাসময়ে বাস্তবায়ন হয় কিনা।
তিনি আরও বলেন, সামনে মাত্র একমাস। এই একমাসে নতুন করে যন্ত্রপাতি কিনে দেওয়ার উদ্যোগ যদি নেওয়া হয় থাকে তাহলে তা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এটা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। এতো কম সময়ে তা বাস্তবায়ন সোজা নয়। এখনই তা করতে গেলে অপচয় হবে, অনিয়ম-দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে এটা যদি সুদূর প্রসারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং সঠিকভাবে কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় কৃষি উপকরণ তাহলে এর সুফল মিলবে।
ড. আবদুল মজিদ বলেন, কৃষির জন্য ভর্তুকি বাজেটের অব্যহৃত তিন হাজার কোটি টাকা বণ্টন কঠিন কোনো কাজ হবে না যদি আগে থেকে পরিকল্পনা মাফিক করতে পারে। কিন্তু কৃষকদের আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়, যন্ত্রপাতির সংখ্যা কতো, কাদের কাছ থেকে এই যন্ত্রপাতি কেনা হবে, কাদের দেওয়া হবে, কীভাবে দেওয়া হবে এ বিষয়ে নিশ্চয়ই কোনো পরিকল্পনা আছে কর্তৃপক্ষের। কিন্তু হঠাৎ আগামী একমাসের মধ্যে যন্ত্রপাতি দেওয়ার ব্যবস্থা করে, তখন প্রশ্ন উঠবেÑ কখন কেনা হবে এই যন্ত্রপাতি? এটা যদি নগদ টাকা হতো তাহলে কৃষককে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে দিয়ে দেওয়া যেতো।
তিনি বলেন, কিছু প্রশ্ন খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠবেÑ এখন এসে এতো তাড়াহুড়ো করছেন কেন সরকার? সারাবছর কোথায় ছিলো, কী করেছেন তারা? তাদের যদি যন্ত্রপাতি দেবেনই তাহলে আগেই পরিকল্পনা করে দেওয়া যেতো। কৃষককে যন্ত্রপাতি দিলে ধানের উৎপাদন ব্যয় কমবে, এটা তো ভালো। এটা বছরে শুরু থেকে ব্যবস্থা করলে আজকে যে সংকট দেখা দিয়েছে সেটা অনেকটা প্রশমিত হতো।