আবুল বাশার : শবে কদর, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে নয়দিনের ফাঁদে পড়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেনাপোল স্থলবন্দর। দুই দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সূত্র : বিডিনিউজ
বেনাপোল শুল্কভবনের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন জানান, শুক্রবার ও শনিবার ৩১ মে ও ১ জুন সাপ্তাহিক ছুটি। রোববার ২ জুন শবে কদর এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটিতে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। মাঝে সোমবার ৩ জুন বন্দর খোলা থাকলেও ঈদের আগের দিন হওয়ায় কাজকর্ম তেমন একটা হবে না।
আবার আগামী শুক্রবার ও শনিবার ৭ ও ৮ জুন সাপ্তাহিক পড়ে যাওয়ায় ওই দুইদিনও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। রোববার ৯ জুন থেকে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে আকরাম জানান। এর ফলে উভয় বন্দর এলাকায় তীব্র ‘ট্রাকজটের’ আশঙ্কা করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। ছুটির এ কয়দিন কাস্টমস ও বন্দরের কাজ বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে বেনাপোল চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন ওসি আবুল বাশার জানান ।
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, ‘লম্বা ছুটিতে বন্দর ও কাস্টমসের অনেক কর্মকর্তা বাড়ি চলে যান। ফলে ৯ জুনের আগে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরবে না।’ তবে সরকারি ছুটি ছাড়া অন্যান্য দিন বন্দর ও কাস্টমে কাজ হলে বন্দরে পণ্যজট কমবে বলে আশা করেন তিনি।
এদিকে পেট্রাপোল বন্দরে ট্রাকজট সৃষ্টি হয়েছে বলে পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান। তিনি বলেন, ‘বন্দরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁও টার্মিনালে কয়েকশ পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে আছে । যেগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।’ সম্পাদনা : রেজাউল আহসান