ইসমাঈল ইমু : প্রায় প্রতিদিনই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মাদক কারবারি ধরা পড়ছে। বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনাও ঘটছে। এরপর থামছে না মাদক বেচাকেনা। বিশেষ করে ইয়াবা ব্যবসায়ই বর্তমানে তুঙ্গে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে রীতিমতো বোকা বানিয়ে সক্রিয় ইয়াবা কারবারিরা নানা কৌশল অবলম্বন করছে। নারকেলের ভিতর, আমের ভিতর, জুতার ভিতর, মাছের ভিতর, মোবাইল ফোন সেটের ভিতর, পায়ুপথে করে ইয়াবা বড়ি পাচার হচ্ছে। পাচার হচ্ছে পাকস্থলীতে করেও। মাদক ব্যবসায়ীরা অভাবী মানুষকে টার্গেট করে একের পর এক ইয়াবার চালান পৌঁছাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসার অন্যতম হোতা সাইফুল করিম (৪৫) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, সাইফুল করিম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ গোয়েন্দা সংস্থার মাদক সংক্রান্ত একাধিক তালিকায় শীর্ষে ছিলেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রথম ইয়াবার চালান আনা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে টেকনাফ ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে।
সূত্র জানায়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আগে স্পটে মাদকদ্রব্য বিক্রি হতো। গতবছর মে মাসে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান শুরুর পর মাদক ব্যবসনায়ীরা হঠাৎ করেই গা ঢাকা দেয়। বন্ধ হয়ে যায় মাদক স্পট। তবে মুঠোফোনে মাদক কারাবার চলতে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রেতারা ধরা পড়ছে। এরপরও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিত্য নতুন কৌশল হাতে নিচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় পাঠাও রাইডিংয়ের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা করছে সুজন নামের এক ব্যবসায়ী। বেশ কয়েকবার তাকে পুলিশ আটক করলেও মাদক স¤্রাট ইমু ও মাহমুদা মোটা অংকের টাকার আপোষ রফায় সুজনকে ছাড়িয়ে আনে। মাহমুদার সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকি-ধামকি ও মারধরের কারণে স্থানীয় এলাকাবাসী ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না। কেউ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তথ্য দিলে বা মাদকের বিরোধীতা করলে তাকে মারধর ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে অথবা মিথ্যা মামলার আসামী বানিয়ে এলাকা ছাড়া করে।
একইভাবে শাহআলী এলাকার কয়েকটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রেই মাদক কেনা-বেচার অভিযোগ রয়েছে। থানার আশপাশেই ইয়বার রমরমা বাণিজ্য চলে আসলেও অজ্ঞাত কারণে ধরা পড়ছেনা কেউ। এছাড়া কারওয়ানবজারের শুটকি পট্টি এলাকায় আগের মত প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি না হলেও এর আশপাশে ঘুরলেই মিলবে মাদক। বিজয় স্মরণী সংযোগ সড়কের ফ্লাইওবারের নিচে ফকিরনি বাজার এলাকায় প্রকাশ্যেই চলে ইয়াবা বিক্রি। মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প, মিরপুরের কালসী বিহারী ক্যাম্প, ঢাকা মেডিকেলের পেছনের রাস্তায় এখনো বিক্রি হয় গাঁজা ও ইয়াবা।