জুয়েল খান : সরকার চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর কারণে বাজারে সাপ্লাই কমে গেলে হয়তো বাজারে চালের দাম বাড়তে পারে। তবে সরকার যদি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান না ক্রয় করে, তাহলে বাড়তি দামের কোনো প্রভাব স্থানীয় বাজারে পড়বে না এবং এই বাড়তি মূল্য কৃষকের কোনো লাভ হবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের চাল তৈরি করে তার বেশিরভাগ চাল মোটা বা মাঝারি ধরনের, যার ফলে সব দেশেরই বাংলাদেশের চালের চাহিদা সমানহারে নেই, তবে কিছু কিছু দেশে বাংলাদেশের চালের চাহিদা রয়েছে। কিছু দেশকে টার্গেট করে চাল রপ্তানি করা যেতে পারে। যেমন মধ্যপ্রাচ্যসহ যেসব দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীরা থাকেন সেসব দেশে বাংলাদেশ চাল রপ্তানি করতে পারে। সামগ্রিকভাবে সারাবিশে^ বাংলাদেশের চাল রপ্তানি করার সুযোগ নেই, তাই টার্গেটেডভাবে নির্দিষ্ট দেশে বাংলাদেশের চাল রপ্তানি করা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, চালের দাম দেশে এখনো কম নয়। কিন্তু কৃষক চাল উৎপাদন করতে পারেন না। তাই চালের দামের সুবিধা তারা পান না। বাড়তি দামের সুবিধা পায় চালকল মালিক। তারা কৃষকের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে চাল তৈরি করে সরকারি গুদাম বা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করছে। সুতরাং এখন একটাই চ্যালেঞ্জ সেটা হলো কীভাবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আরো বেশি পরিমাণ ধান ক্রয় করা যায়।