নাট্যজন মমতাজউদদীন আহমদ আর নেই
ইয়াছির আরাফাত : আরও এক নক্ষত্রের পতন। চলে গেলেন বরেণ্য নাট্যকার, অভিনেতা ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমেদ। রোববার বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর। মমতাজউদদীন আহমেদ-এর ভাগিনা শাহরিয়ার মাহমুদ প্রিন্স তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। সূত্র : সারাবাংলা
শাহরিয়ার মাহমুদ প্রিন্স বলেন, ‘মমতাজউদদীন আহমদের প্রথম জানাজা হয় সোমবার রাতে তার রূপনগরের বাসায়। এরপর আজ সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে হবে তার দ্বিতীয় জানাজা। এর সোমবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে তার বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হবে তাকে।’
১৬ মে থেকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গেলো কয়েকদিন তাকে রাখা হয়েছিলো নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ)। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। নানা সৃজনশীল গুণে গুণান্বিত অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ একজন ভাষাসৈনিকও। বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম এই পথিকৃৎ ১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদকে ভূষিত হন। এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে খ-কালীন শিক্ষক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি কলেজে ৩২ বছর বাংলা ভাষা সাহিত্য এবং বাংলা ও ইউরোপীয় নাট্য বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৭-৮০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন। দেশের অন্যতম নাট্যদল থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। মমতাজউদদীন আহমদ মমতাজউদদীন ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।