৩৩০ করে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের
আক্তারুজ্জামান : নিজেদের ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করার জন্য বিশ্বকাপের মঞ্চকেই বেছে নিলো মাশরাফি বিন মুতর্জার দল। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩৩০ রান সংগ্রহ করেছে। প্রথম ম্যাচ বাজেভাবে হেরে শুরু করা প্রোটিয়াদের এবার বলে চাপ দিয়ে ঠেসে ধরার পালা। বিশ্বকাপের পাশাপাশি এটিই বাংলাদেশের রেকর্ড স্কোর।
বাংলাদেশের ৬ উইকেটে তোলা ৩৩০ রানের মঞ্চটা তৈরি করেছে সাকিব-মুশফিকের রেকর্ড জুটি। ৭৫ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ১৪২ রান যোগ করে দুজনে। বিশ্বকাপে যেটি বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি। ইমরান তাহিরের বলে ৭৫ রানে ফিরেছেন সাকিব। ৭৮ রান করেছেন মুশফিক। তিন অঙ্কে নিয়ে যেতে পারেননি নিজেকে। শেষে মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেকের জুটি বাংলাদেশকে বেশ ভালো পুঁজিই এনে দিল। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো তিন শ পেরোল।
দারুণ শুরু করে ৭ম ওভারে ৫০ রান করা তামিম-সৌম্যের ছন্দ কাটে নবম ওভারেই। প্রথম পরিবর্তনে এলেন আন্দিলে ফিকোয়াও। তার দ্বিতীয় বলেই উইকেটরক্ষকের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তামিম। থামল ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি। ২৯ বলে ২ চারে ১৬ রান করে ফিরেছেন তামিম। পাল্টা আক্রমণে দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য ফিরেছেন উইকেটের পেছনে ডি ককের দুর্দান্ত এক ক্যাচের শিকার হয়ে। এর আগে ৩০ বলে ৪২ করেছেন।
৭৫ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর দ্রুতই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব-মুশফিক ধাক্কাটা সামলে নিয়েছেন। দুজনের জুটিটা ভেঙেছে গত বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের ১৪১ রানের জুটির রেকর্ড।
সাকিব ৫৪ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন। মুশফিকের ফিফটির জন্য লেগেছে ৫২ বল। কত দ্রুততায় রান তুলেছেন এই দুজন! দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যবহার করতে হয়েছে ৭ বোলারকে। অবশ্য তাদের মূল স্ট্রাইক বোলার এনগিডি ৬ ওভার বল করেই উঠে গেছেন চোট নিয়ে আর ফেরেননি।
শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৮৬ রান। মন্দ নয়। কিন্তু যে মঞ্চটা ছিল, তাতে ওভারে ১০ করে তোলাই উচিত ছিল। তা পারলে স্কোরটা আরও বড় হতেই পারত। অবশ্য এই স্কোরও কঠিন অবশ্যই, যদি বাংলাদেশ শুরুতেই চাপে ফেলে দিতে পারে প্রোটিয়াদের। চাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ভেঙে পড়া নতুন কিছু তো নয়!