তৈরি পোশাক কারখানগুলো বাংলাদেশে সরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে চীন
নূর মাজিদ : বাণিজ্যযুদ্ধকে করে যখন চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পর¯পরের পন্যে অতিরিক্ত শুল্কাদায় করা শুরু করছে, ঠিক তখনই দেশের শীর্ষ পোশাকশিল্প ব্যবসায়ীরা এই সম্ভাবনার কথা জানালেন। তারা জানান, খরচ কমাতে এখন চীনা আরএমজি খাতের জন্য সবচাইতে ভালো বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে। এই কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বেশ কয়েকটি কো¤পানির সঙ্গে চীনা কো¤পানিগুলো যৌথ মালিকানায় নতুন কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্র : দ্য এজ
এর আগে প্রতিবেশী ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়ায় চীনা টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্প মালিকেরা বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেন। তবে ভিয়েতনামে মজুরি বৃদ্ধি এবং কম্বোডিয়ায় দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে। এই কারণেই চীনা উদ্যোক্তারা এখন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছেন। এইক্ষেত্রে পোশাক শিল্প নিয়ে নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্যের কারণে বাংলাদেশই সবচাইতে সম্ভাবনাময়। এছাড়াও, দেশে লাখ লাখ দক্ষ পোশাক শিল্প শ্রমিক রয়েছে। তুলনামূলকভাবে, বাংলাদেশের শ্রমিক মজুরিও কম। সঙ্গত কারণেই, চীন এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেনা। বিজিএমএইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল সামাদ দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ইংরেজি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান।
এই সাক্ষাৎকার দেয়ার পূর্বে ফয়সাল সামাদ হংকং থেকে বাংলাদেশ সফররত একদল চীনা বিনিয়োগকারীর সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা গত ২২ থেকে ২৬ মে ঢাকা সফর করেন। চীনা উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের সম্ভাবনা সরেজমিন প্রদর্শন করে দেশের শীর্ষ গার্মেন্টস মালিকদের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগের আলোচনা করেন। চীনা ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে রেডিমেড গার্মেন্টস ছাড়াও, ফ্যাব্রিক, প্রিন্টিং এবং ডায়িং কারখানা স্থাপনের ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেন।