ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া অভিমুখী রোহিঙ্গারা
আসিফুজ্জামান পৃথিল : মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দমন-নিপীড়নে বাংলাদেেেশ পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা এখন মালয়েশিযা, ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পালিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজছে। অনেকে সাগরপথে পালিয়েও যাচ্ছে। অনেকে আবার পালাতে গিয়ে ধরা পরছে। কিন্তু মোটের উপর রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের চেয়ে পূর্ব এশিয়ায় যেতে বেশি আগ্রহী। এর কারণ হলো বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিলেও জনসাধারণের সঙ্গে মিশে দিতে দেয়নি। যেটি অবশ্যই খুব স্বাভাবিক বিষয়। তাই রোহিঙ্গারা চায় মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে নিজেদের ভবিষ্যত গড়ে নিতে। পেনিনসুলা।
রোহিঙ্গাদের এশিয়ার অন্য দেশে পাচারের জন্য গড়ে উঠেছে একটি দালাল গোষ্ঠী। এই দালালরাও জাতিগতভাবে রোহিঙ্গা। মালয়েশিয়া যেতে একজন দালালকে খরচ করতে হয়, ৪৫ হাজার টাকা। এই রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের শিবির থেকে প্রথমে সেইন্ট মার্টিন্সে নেওয়া হয়। এরপর ট্রলারে করে রাতের আঁধারে তাদের মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পাঠানো হয়। এরপর যদি কেউ যেতে না পারেন বা ফিরতে চান রোহিঙ্গা শিবিরে, প্রদত্ত অর্থ তো ফেরত পানই না, উল্টো পাচারকারিদের ৫০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়।
মালয়েশিয়া যাওয়ার আগেই কোস্টগার্ডের হাতে আটক হন ২২ নারী ও ২০ পুরুষ। তাদের একজন আমিন। মালয়েশিয়া যেতে চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে, তিনি আনাদলু এজেন্সিকে বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার কোন ভবিষ্যত নেই। আমি এখানে একজন কারাবন্দীর জীবনযাপন করছি, সে অন্যের দয়ায় বেঁচে আছে। আমি মালয়েশিয়া গিয়ে মানুষের মতো বাঁচতে চাই। কিন্তু আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।’
জাতিসংঘের ভাষ্যমতে রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত মানুষ। ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পুরো জাতিগোষ্ঠীটির উপর নির্মম নির্যাতন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এই ঘটনার শিকার হয়ে সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। এদের সহ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। সম্পাদনা : ইকবাল খান