হ্যাপি আক্তার : ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে জেল খাটার পর মুক্তি পেয়েছে পিরোজপুরের এক দম্পতি। তবে তাদের সঙ্গে আটক হওয়া তিন সন্তান এখনো রয়েছে ভারতে। বর্তমানে কোন জেলে আছে তাও জানতে পারেনি খোঁজ না পাওয়া পিতা-মাতা ও স্বজনরা । সন্তানদের খোঁজ না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন পরিবারটি। শিশুদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। ডিবিসি নিউজ।
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের নান্টু ফরাজি। ভালো উপার্জনের আশায় ২০১১ সালে স্ত্রী লাকী বেগমকে নিয়ে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে পাড়ি জমান ভারতে।
দেশে ফিরে দুই বছর পর আবারো অবৈধভাবে ভারতে পাড়ি জমান। এবার সাথে নিয়ে যান তাদের পাঁচ ও দুই বছরের মেয়ে তানিয়া, হেনা এবং দুই মাসের ছেলে রায়হানকে।
ইন্দুরকানী উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের নান্টু ফরাজী ও তার স্ত্রী লাকী বেগম দুই শিশু কন্যা ও এক শিশু পুত্রকে নিয়ে ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর ভারতের দিল্লি থেকে বাংলাদেশে ফেরার পথে ভারতের বনগাঁ জেলার গোপাল নগর থানা তাদেরকে আটক করে। পরে পুলিশ তাদেরকে ভারতের বনগাঁও আদালতে পাঠালে নান্টু ফরাজী ও তার স্ত্রীকে দমদম সেন্ট্রাল জেলে এবং তিন সন্তান তানিয়া আকতার (১৩), হেনা আকতার (১১) ও রাহান উদ্দিন ফরাজী (৯) কে পৃথক সেফ হোমে পাঠানো হয়।
চার মাস পর ছাড়া পান ওই দম্পতি। কিন্তু এখনো তাদের তিন সন্তানের মুক্তি মেলেনি। সন্তানদের দেখতে না পেয়ে এখন পাগলপ্রায় অবস্থা পরিবারটির। ওই তিন শিশুকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শিশু তানিয়া, হেনা ও রায়হানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন