নুর নাহার : কনটেইনারসহ বিচিত্র ধরনের মালামাল বৃদ্ধির ফলে ভুল নীতির কারণে বাংলাদেশ রেলওয়েতে মালামাল পরিবহন দিন দিন কমছে। ফলে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরও লাভের মুখ দেখছে না রেল। নিউজ ২৪
এক সময় দেশের পণ্য পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম ছিলো রেল। কিন্তু রেলকে অবহেলিত রেখে সড়ক পথ উন্নত করায় রেলপথে মালামাল পরিবহন কমে যায়। রেলওয়ে তথ্য বলছে স্বাধীনতার আগের বছরে ৪৮ লাখ ৭৯ হাজার টন মালামাল পরিবহন করে। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৮ লাখ ৭৭ হাজার টন। মালামাল পরিবহনের জন্য ওয়াগনও কমেছে হতাশাজনক ভাবে। সারাদেশে মোট যে কনটেইনার পরিবহন হয় তা মাত্র ৫ শতাংশ রেল পরিবহন করে। অথচ তিন গুন কম খরচে কনটেইনার পরিবহন করতে পারে রেল।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, সড়কের উপরে মালামাল পরিবহনের যে বিরাট চাপ তা কখনোই টেকসই হতে পারে না।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেল মোট আয় করেছে ১ হাজার ৫শ কোটি টাকা। সেখানে মালামাল পরিবহন করে আয় করেছে মাত্র ২৮৫ কোটি টাকা। অথচ এর বিপরীত চিত্র ভারতে। ভারতে একই বছরে রেল থেকে আয় করেছে ২৬ বিলিয়ন ডলার। ভারতের রেল মালামাল পরিবহনের ১৬ বিলিয়ন ডলার এবং যাত্রী পরিবহনে আয় করেছে ৭ বিলিয়ন ডলার।
রেলের সাবেক মহাপরিচালক মো. তাফাজ্জল হোসেন বলেন, সবগুলো রেল লাইন যখন ডাবল লাইন হয়ে যাবে তখন যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হবে এবং আয় বাড়বে।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, জাতীয় ব্যবসা বাণিজ্যের যে পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সামগ্রিক রেলব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে।
ঢাকার কমলাপুরে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালের ধারণ ক্ষমতা ৭০-৮০ হাজার। গাজীপুরের ধীরাশ্রমে কনটেইনার টার্মিনালের প্রকল্প এক যুগ ধরে এখনো আলোর মুখ দেখেনি। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন ও রেজাউল আহসান