নুর নাহার : বর্তমানে দেশের কৃষিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির বিপরীতে ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। রোপণ ও সংগ্রহ মৌসুমে তীব্র শ্রমিক সংকট পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলছে। এ অবস্থায় কৃষিবিদরা জোর দিয়েছেন শস্যগুদাম ঋণ কার্যক্রমে। এতে ইউনিয়ন পর্যায়ে শস্য সংরক্ষণ কার্যক্রম যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি কমমূল্যে ফসল বিক্রি করতে হবে না কৃষককে। সময় টিভি
আমনের পর বোরো মৌসুমে ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেতে আগুন দেয়া কিংবা রাস্তায় ধান ছিটিয়ে প্রতিবাদ করেছেন কৃষকরা। শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কেটে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎপাদনকালীন ঋণ পরিশোধে মৌসুম চলাকালীন প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ ফসল নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করেন কৃষক। এ অবস্থায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে শস্য গুদাম ঋণ কার্যক্রমের উপর জোর দিয়েছেন তারা। এ কার্যক্রমের আওতায় সরকারি গুদামে ফসল রাখার বিপরীতে কৃষককে ব্যাংক ঋণ দেয়া হয়। দাম বৃদ্ধি পেলে ফসল বিক্রি করে গুদাম ভাড়া ও ঋণ পরিশোধ করেন কৃষক।
কৃষক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক পলাশ কান্তি নাগ বলেন, ‘উৎপাদনের খরচের সঙ্গে ৩৩ শতাংশ মূল্য সহায়তা দিয়ে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে প্রতিটি ফসল ক্রয় করতে হবে।’
বাজেট বিশ্লেষনে দেখা যায় গেল পাঁচ অর্থবছরে কৃষিতে বরাদ্দ দেয়া ৭৮ হাজার ৫শ’ ২৫ কোটি টাকার বেশিরভাগই ব্যয় হয়েছে সার, তেল, বীজের ভর্তুকিতে। শ্রমিক সংকট নিরসনে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি বাড়ানোর পরামর্শ কৃষিবিদদের।
বি আই ডি এস এর সবাকে গবেষণা পরিচালক ড এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কৃষক যেন ফসল তুলে সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করতে না পারে সেই জন্যে ভর্তুকি দিতে পারি আমরা। কিভাবে সেটা করা হবে সেটা নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে। কৃষকের সঙ্গে কথা বলতে হবে সেই সঙ্গে কথা বলতে হবে ব্যাংকের সঙ্গে।’
কৃষিপণ্যের বাজার তৈরির পাশাপাশি ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে স্বতন্ত্র মূল্য কমিশন গঠনের পরামর্শ কৃষি অর্থনীতিবিদদের। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
শেকৃবির ডিন ড মিজানুল হক কাজল বলেন, ‘এখন কিন্তু বাংলাদেশ থেকে অনেক কৃষি পণ্য বিদেশে রফতানি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রণোদনা দেয়া যেতেই পারে। তার ফলে কৃষির বিপ্লব কাজে লাগানোর অনেক সুযোগ আছে।’
বরাদ্দকৃত অর্থ যেন অপচয় না হয় সেদিকে সরকারকে লক্ষ্য রাখারও পরামর্শ কৃষি খাত সংশ্লিষ্টদের