আমাদের বিশ্ব • আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ৪
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বললেন, কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে এনজিওগুলো বেশি সুদ নিচ্ছে সরকারের ব্যর্থতার কারণেই
আমিরুল ইসলাম : সরকার কৃষি ঋণ দেয় কম, ধানও কেনে কম। এ বছর দেশে প্রায় ২ কোটি টন বোরো ধান উৎপাদিত হয়েছে। সরকার কিনবে মাত্র দেড় লাখ টন। কৃষকের মোট ঋণের মাত্র ছয় ৬ শতাংশ আসে কৃষি ব্যাংক থেকে। বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), আত্মীয়-স্বজন, বেসরকারি ব্যাংক, দাদন ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন উৎস থেকে থেকে ৮১ শতাংশেরও বেশি ঋণ নেন। এর মধ্যে এনজিও থেকে নেন ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এনজিওগুলো সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নিয়ে থাকে। এই সুদ আসলে নির্ধারণ করে কে?
সুদ নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকারি কোনো নীতিমালা আছে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশে ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে এনজিওগুলো বেশি সুদ নিচ্ছে সরকারের ব্যর্থতার কারণেই।
তিনি আরো বলেন, এনজিওগুলোর সুদ নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা অনুসরণ করা হয় না। সরকার নিজেই তো কৃষকদের পর্যাপ্ত কৃষি ঋণ দিতে পারছে না। সরকার দিতে না পারলে তো কৃষকেরা এনজিওগুলোর কাছে যাবেই। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ করারও কোনো প্রয়োজন নেই। তবে এনজিওগুলোর এতো বেশি সুদ নেয়া উচিত নয় বা গ্রহণযোগ্য নয়। কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে সরকার যদি কোনো বিকল্প পদ্ধতি চালু করতে না পারে তাহলে এমনটা চলতেই থাকবে, কারণ কৃষকেরা তো আর বসে থাকবে না।