ঈদের ছুটি শেষে আবারও কোলাহল বাড়ছে রাজধানীতে
সাজিয়া আক্তার : ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরছে কর্মজীবী মানুষ। এরই মধ্যে ঈদের সরকারি ছুটি শেষে অফিস খুলেছে রোববার। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতেও শুরু করেছেন। তবে রাজধানীতে এখনো কর্মব্যস্ততা শুরু হয়নি। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা যেমন কম, তেমনি কম মানুষের চলাফেরাও। এখনো অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় রাজধানীতে মানুষের কোলাহল বাড়েনি। এনটিভি ১৭:০০
এবার ৪ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত মোট পাঁচদিন ঈদের ছুটি কাটান সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেই হিসাবে শনিবারই শেষ হয়েছে ছুটি। পাঁচ দিনের অবকাশ কাটিয়ে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা শুরু হয়েছে।
রাজধানীর লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
সরকারি বিভিন্ন অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেকটা ফাঁকা। কিছু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এলেও এখানো পুরোদমে অফিস চালু হয়নি। সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন ছিল হাতেগোনা। রিকশাও খুব একটা চোখে পড়েনি। বেশির ভাগ দোকানপাটই ছিলো বন্ধ। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। সিনেমা হলগুলোতে লাইন ধরে টিকেট কাটতে দেখা গেছে অনেককে।
এদিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, মহাখালী ও গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে অনেকে।
কমলাপুর রেলস্টেশনেও ঢাকামুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে। তবে ঈদের পর রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া কিছুটা বেশি দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কেউ কেউ। পরিবহনের সংখ্যাও কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন তারা।
সায়েদাবাদে কে কে ট্রাভেলস বাস কাউন্টারের কর্মকর্তা আবদুল জলিল বলেন, সকাল থেকে মানুষ ফেরা শুরু করেছে। কোনো বাসে সিট খালি নেই। অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আসছে। এখন ফেরার পথেও ভাড়া কিছুটা বেশি গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এ বিষয়ে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের দায়িত্বে থাকা বিআইডবিøউটি-এর যুগ্ম পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এবার ঈদে লোকজন নিরাপদে এবং অত্যন্ত সুন্দরভাবে লঞ্চে করে গ্রামে যেতে পেরেছে। এখন অফিসের ছুটি শেষে সবাই ফিরে আসছে। তবে মানুষের সমাগম কম। প্রতিদিনের মতো দক্ষিণাঞ্চল থেকে শতাধিক লঞ্চ ঢাকায় এসেছে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন, রেজাউল আহসান