এম হাফিজউদ্দিন খানের প্রশ্ন, ঋণখেলাপিদের কেন এতো সুযোগ?
জুয়েল খান : তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেছেন, ২১ মে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুন নাহার ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানিকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘টাকা আদায়ের জন্য ১০ বছরের সুযোগ দিলেন। ইতোমধ্যে তো এক লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। খেলাপিরা নতুন করে ঋণ নেয়ার সুযোগ পেলে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হতে পারে। দেশের অর্থনীতি তো শেষ করে দিচ্ছেন। আদালত আরও বলেছেন, ‘যারা ব্যাংক লুট করছেন তাদের দুধ-কলা দিয়ে পুষছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার ‘দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন’। হাইকোর্টের নির্দেশনা জারির পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি আইনসিদ্ধ নয়, তাই তা বাতিলযোগ্য, তাহলে জনমনের স্বস্তি আরো পুষ্ট হবে। সূত্র : সমকাল
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে যে তারল্য সংকট চলছে তা উদ্বেগজনক, বিস্ময়কর যুগপৎ প্রশ্নবোধক। কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা তো খুবই খারাপ। এই ব্যাংকগুলোর পক্ষে গ্রাহকের জমানো টাকা ফেরত দেয়াই এখন অনেকটা কঠিন। ঋণখেলাপিদের দফায় দফায় সুযোগ কিংবা ছাড় দিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে তা এক কথায় অনাকাক্সিক্ষত-অনভিপ্রেত। বিদ্যমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আদালত সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছেন তা স্বস্তির। ঋণখেলাপিদের ছাড়ের পর মাফের মতো নানা রকম প্রক্রিয়ার ব্যাপারে ইতোপূর্বে অনেক কথা বলা হয়েছে। খেলাপি ঋণ দেশের অর্থনীতির জন্য বড় রকমের অশনি সংকেত। একজন কৃষক সামান্য টাকা ঋণ নিয়ে বিপদে পড়েও যেখানে সুযোগ-সুবিধা পান না সেখানে কোটি কোটি টাকা বলবানদের কাছে অনাদায়ী থেকে যাচ্ছে! হাইকোর্টের নির্দেশনা জারির পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। এমতাবস্থায় যেখানে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া উচিত সেখানে দেখা যাচ্ছে বিপরীত চিত্র।