বিডি রহমতউল্লাহ বললেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো যৌক্তিক নয়
আমিরুল ইসলাম : গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এবং গ্যাসের সব মিটার প্রিপেইড করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। সরকারের এ উদ্যোগকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতউল্লাহ বলেছেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো যৌক্তিক নয়।
তিনি বলেন, আমাদের ১২ নম্বর ব্লকে প্রায় ১০০ টিসিএফ গ্যাস রয়েছে, এটা চোখ বন্ধ করে বলা যায়। মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে যে মামলা ছিলো তার মীমাংসা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ১১ নম্বর ব্লক থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে। আমাদের ১২ নম্বর ব্লকে সার্ভে করার জন্য কোরিয়ান একটা কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মাত্র কিছুদিন হলো। সেখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করতে কমপক্ষে আরো চার-পাঁচ বছর সময় লাগবে। আমাদের দেশে গ্যাসের দাম বাড়াতেই হবে কারণ গ্যাস কিনে নিয়ে আসা হচ্ছে লিকুউড ফর্মে। বিদেশ থেকে গ্যাস ক্রয় করে আনতে এবং টার্মিনালে ঢোকাতে আমাদের প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ দেশেই প্রচুর গ্যাস রয়েছে কিন্তু সেটা উত্তোলন করা হচ্ছে না। আমরা নিজেদের গ্যাস রেখে বাইরে থেকে দ্বিগুণ দামে ক্রয় করছি। এখন আমাদের প্রতিদিন প্রায় ৪০০-৪৫০ সিএফটি গ্যাস লাগে। এখন আছে ৩০০ সিএফটি। ১৫০ সিএফটি গ্যাসের যে ঘাটতি রয়েছে সেটা কোথা থেকে দেবে সরকার?
তিনি আরো বলেন, প্রি-পেইড মিটার দেয়ার মাধ্যমে অপচয় ২০ শতাংশ কমতে পারে। সার কারখানা ও শিল্পকারখানগুলোতে যতোটা গ্যাস অপচয় হয় পাওয়ার স্টেশনগুলোতে ততোটা হয় না। গ্যাস চুরি বন্ধ করতে হবে। গ্যাসের অপচয় রোধ করতে হবে। মৌলিক বিষয় হচ্ছে পারিবারিকভাবে ব্যবহার করার জন্য পাইপ লাইন থেকে সিলিন্ডার গ্যাস বেশি উপযোগী। সিলিন্ডারের দামটা সুলভ রাখতে হবে। ৪০ লিটারের বোতল ৬০০-৭০০ টাকার মধ্যে রাখতে হবে। এখন এটা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছে জ¦ালানি মন্ত্রণালয়। প্রি-পেইড মিটার লাগালে সাশ্রয় হবে, কিন্তু প্রি-পেইড মিটার লাগাতেও প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। রেসিডেন্সিয়াল ১০-১২ শতাংশ থেকে প্রি-পেইড মিটার লাগিয়ে ৪-৫ শতাংশ অপচয় কমালেও এটা খুব মহাযজ্ঞ হবে না। সারকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রির অপচয় কমাতে হবে, সেখানে প্রচুর গ্যাস অপচয় হয়। মানুষ এখন এমনিতেই অনেক সচেতন হয়েছে তাই মিটার না লাগালেও চলে। গ্যাসের দাম বাড়ালে বিদ্যুতের দাম বাড়বে। আর বিদ্যুতের দাম বাড়লে সব কিছুর দাম বেড়ে যাবে।