গাজীপুরে যাত্রীকে ফেলে চাকায় পিষে হত্যার ঘটনায় বাসচালক গ্রেপ্তার
মিলটন খন্দকার: গাজীপুর সদরের বাঘের বাজার এলাকায় বাস থেকে ফেলে এক যাত্রীকে চাকায় পিষ্ট করে হত্যার ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় সোমবার বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আলম এশিয়া বাসের চালক মো. রুকন গতকাল সোমবার দুপুরে পালিয়ে যাওয়ার সময় ময়মনসিংহের কংস নদী থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। রোকন উদ্দিন ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার লতিফপুর নয়াপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে।
জয়দেবপুর থানার এসআই মো. আব্দুর রহমান জানান, রোববার এক যাত্রীকে বাস থেকে ফেলে হত্যার মামলার পর বাস চালক রোকন মাকে নিয়ে ময়মনসিংহের ডোবাউরা ও হালুয়া ঘাট থানার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযানে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রুকন গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য কংস নদীতে ঝাপ দেয়। পুলিশও পিছু ঝাপ দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। আর মা কৌশলে আত্মগোপন করে চলে যান। যাত্রী সালাহ উদ্দিন হত্যার ঘটনায় জড়িত বাসের অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নিহত যাত্রী সালাহ উদ্দিন (৩৫), স্থানীয় আতাউর রহমান মেম্বার বাড়িতে ভাড়া থেকে স্কটেক্স এ্যাপারেলস নামের পোশাক কারখানার গাড়ি চালাতেন। তিনি ঢাকার আলু বাজার এলাকার মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
গত শুক্রবার সস্ত্রীক সালাউদ্দিন ঈদের ছুটিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকায় তার শ^শুরবাড়িতে বেড়াতে যান। বেড়ানো শেষে রোববার তারা ময়মনসিংহ থেকে আলম এশিয়া পরিবহনের গাড়ীযোগে গাজীপুরের বাসায় ফিরছিলেন। পথে ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সাথে বাস সহকারীর বাক-বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে গাড়ীর ভিতরেই প্রকাশ্যে সালউদ্দিনকে লাঞ্চিত করে এবং লাথি মেরে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয় চালকের সহকারি। এ ঘটনা সালাউদ্দিন মুঠোফোনে তার স্বজনদের অবহিত করেন এবং গাজীপুরের বাঘের বাজার এলাকায় তাদের থাকতে বলেন। পরে জামালসহ ৫-৬জন বাঘের বাজার এলাকায় ওই বাসটির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। একপর্যায়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই বাঘের বাজার পৌঁছলে সালাউদ্দিনকে গাড়ী থেকে ফেলে দিয়ে স্ত্রীকে না নামিয়েই বাসটি চলে যেতে উদ্যত হয়। পরে সালাউদ্দিন মাটি থেকে উঠে গিয়ে গাড়িটির গতি রোধ করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু বাস চালক স্ত্রীকে না নামিয়েই সালাউদ্দিনকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। সম্পাদনা : ইকবাল খান