জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ঘরে প্রক্রিয়াজাত করে সারা বছর আম খাওয়ার উপায়
মতিনুজ্জামান মিটু : ফলের রাজা বলে খ্যাত সু-স্বাদু ও পুষ্টিকর আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সারা বছর চাইলেও জনপ্রিয় এই ফলটি মধুমাস( বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য ও আষাঢ়) ছাড়া অন্য কোনা সময় প্রায় পাওয়া যায়না বললেই চলে। ইদানিং কৃষি বিভাগের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বারমাসি কিছু জাত বেরিয়েছে এবং তা বাড়ছে। ফলে এখন কম বেশি সারা বছর আম পাওয়া যায়। তবে দাম বেশি হওয়ায় এই আম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসেনি। অন্যদিকে মৌসুমে কৃষকও আমের দাম পাননা।
এদিকে সংগ্রহত্তোর পর্যায়ে নষ্ট হয়ে যায় ২৫ থেকে ৩০ ভাগ আম। প্রক্রিয়াজাত নির্ভরযোগ্য প্রকৃত আম বা আমের জুস ও আমের বার বাজারের নেই। অথচ একটু সচেতন হলেই দেশের মানুষ নিজের ঘরে প্রক্রিয়াজাত করে সারা বছর ধরে খেতে পারেন আম, প্রকৃত আমের জুস ও বার ইত্যাদি আম জাতীয় সুস্বাদু পুষ্টিকর খাবার। ফলবিদরা বলছেন এই উপায়ে সারা বছর ধরে পারিবারিকভাবে পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সু-স্বাদু এই ফলের অপচয় রোধের মধ্য দিয়ে কৃষকের প্রকৃত মূল্য পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম বললেন, দেশের অনেকে নিজের ঘরে আম প্রক্রিয়াজাত করে সারা বছর ধরে খাচ্ছেন এবং সহজ ও নির্ভরযোগ্য উপায়টি দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আমিও গত কয়েক বছর এই উপায়ে সারা বছর ধরে আম ও আমের জুস খাচ্ছি। গতবছরে রাখা আম এখনো খাচ্ছি। এতে আমের স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টির কোনো হেরফের হয়নি। অবিকল একই রকম রয়েছে।
নিজের ঘরে বসে খুবই সহজেই আম প্রক্রিয়াজাত করতে প্রথমে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন প্রকৃত পাকা আম সংগ্রহ করে পরিস্কার পানিতে ধুয়ে ছায়ায় বা বাতাসে বা ফ্যানের বাতাসে শুকাতে হবে। এর পর পরিস্কার হাতে খোসা ছাড়িয়ে ছুরি দিয়ে বা অন্যভাবে আটি থেকে আমের পাল্প বা স্লাইস আলাদা করে আইসক্রিমের বক্স বা বায়ুরোধক পলিথিন কন্টেইনার বা জিপার ব্যাগে ঢুকিয়ে ফ্রিজের ডিপে করে রাখতে হবে। ব্যবহারের আধা ঘন্টা আগে সংরক্ষিত আমের ব্যাগ বা কনটেইনার বাইরের স্বাভাবিক বাতাসে রেখে পরিস্কার ছুরি দিয়ে প্রয়োজনীয় পরিমান আম কেটে খাওয়া যাচ্ছে। এভাবে সারা বছর ধরেই আম সংরক্ষণ করা হচ্ছে।