চীনা কোম্পানি নিষিদ্ধে ফাইভজি নেটওয়ার্ক অবকাঠামো উন্নয়নে ইউরোপে খরচ বাড়বে ৬২ বিলিয়ন ডলার
ইমরুল শাহেদ : চীনা কোম্পানিগুলো থেকে সরঞ্জাম কেনায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইউরোপে ফাইভজি প্রযুক্তি অবকাঠামো স্থাপনে অতিরিক্ত ৫ হাজার ৫০০ কোটি ইউরো বা ৬ হাজার ২০০ কোটি (৬২ বিলিয়ন) ডলার ব্যয় হবে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এ কারণে ফাইভজি চালুর ক্ষেত্রে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অন্তত ১৮ মাস পিছিয়ে পড়তে পারে ইউরোপ। রয়টার্স
গত মে মাসে বিশ্বের বৃহত্তম টেলিকম সরঞ্জাম নির্মাতা কোম্পানি হুয়াওয়েকে ব্যবসায়িক কালোতালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে বাকি বিশ্বও এ চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টের সঙ্গে একে একে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করতে শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, সেই পথ অনুসরণের জন্য ইউরোপের ওপরও চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।
ওয়াশিংটনের অভিযোগ, হুয়াওয়ের সরঞ্জামের সাহায্যে গোয়েন্দাগিরি করতে পারে বেইজিং। কিন্তু হুয়াওয়ে বরাবরের মতোই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গোটা বিশ্ব যখন ফাইভজি নেটওয়ার্কে প্রবেশের জন্য চেষ্টা শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন তখনই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে ৭৫০টি মোবাইল কোম্পানির স্বার্থ সংরক্ষণকারী আন্তর্জাতিক টেলিকম লবি গ্রুপ জিএসএমএ’র এক প্রতিবেদনের একাংশ থেকে উল্লিখিত তথ্য তুলে ধরেছে। হুয়াওয়েকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা নিয়ে জিএসএমএ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ তাদের সরঞ্জামই বেশি ব্যবহার করে ইউরোপ। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, এই লবি গ্রুপের অন্যতম সমর্থক হলো হুয়াওয়ে।
জিএসএমএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুয়াওয়ে ও জিটিইর সরঞ্জাম কেনায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে ফাইভজি অবকাঠামো স্থাপনে ইউরোপের ব্যয় ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার বাড়বে। এ অতিরিক্ত ব্যয়ের অর্ধেক অর্থ মোবাইল সরঞ্জাম বাজারে উল্লেখযোগ্য হারে প্রতিযোগিতা কমে যাওয়ার কারণে বেশি দামে কিনতে খরচ হবে। আর বাকি অর্ধেক ফাইভজিতে আপগ্রেড করতে গিয়ে বিদ্যমান অবকাঠামো প্রতিস্থাপন বাবদ খরচ হবে।
অবশ্য ফিনল্যান্ডের টেলিকম সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নকিয়া দাবি করছে, ফাইভজির জন্য বিদ্যমান অবকাঠামো একেবারে বাতিল করতে হবে না। তারা ফোরজি অবকাঠামোকেই উন্নত করে ফাইভজি উপযোগী করে দিতে পারবে। আর এতে ভেন্ডর পরিবর্তন হেতু খরচ বৃদ্ধি ও জটিলতাও কমবে। সম্পাদনা : ইকবাল খান