বিশ্লেষকদের মতে, বাজেটে আয়মুক্ত করসীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা উচিত
মঈন মোশাররফ : মূল্যস্থীতির কারণে গেল ৪ বছরে টাকার মান কমেছে ২০ শতাংশের বেশী । অথচ ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা রয়েছে আগামী বাজেটে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা করা উচিত। ৫ স্তরের কারণে ভয়াবহ জটিলতা বাড়বে ভ্যাট আদায়ে। উসকে দিবে রাজস্ব ফাকি। দুই হাজার ১৫ সালে, ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা পুরুষের আড়াই লাখ ও নারীদের জন্য করা হয় তিন লাখ টাকা। সেই হিসেবে বর্তমানে মূল বেতন ১৭৫০০ টাকার বেশি হলে দিতে হবে আয় কর। করদাতাদের দাবি ওপেক্ষা করেই টানা চার বছর বাড়ানো হয়নি করমুক্ত আয়সীমা। যদিও মূলস্থী ও টাকার মান কমায় চার বছরে গড়ে নিত্যপণ্য কেনার সক্ষমতা কমেছে ২০ শতাংশের বেশী। তা করদাতাদের উৎসাহিত করতে আয়সীমা বাড়াতে হবে বলে জানান বিশ্লেষকেরা। যমুনা টিভি, ১২:০০
এ প্রসঙ্গে এনবিআরের সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান মঙ্গলবার যমুনা টেলিভেশনকে বলেন, সরকারি হিসেবে আমাদের ৬-৭ শতাংশ ইপ্লেশন হয়, মূল্যস্থীতি ঘটে। এ ক্ষেত্রে যদি দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা যা ২০১৫ সালে ছিলো এখনতো তিন লাখের বেশী হবে। এটা অনেকদিন অপরিবর্তি আছে। এতো বছর একই অবস্থানে এই অংক রাখা হয়নি। তহলে যেটা হবে তাহচ্ছে সঠিক ঘোষানা থেকে সরে আসবে। আমার আয় হলো তিন লাখ টাকা কিন্তু আমার কর দেয়ার সামর্থ নেই তখন কমিয়ে বলবে আড়াই লাখ টাকা।
করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হলে কমে যাবে কর দাতার সংখ্যা। নিতি নির্ধারকদের এই শংকা সঠিক নয় জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, অতিতেও আমরা যখন করমূক্ত আয়সীমা বাড়িয়েছি তখন কী করদাতার সংক্ষা কমেছে? কমেনিতো । আয় ঘোষনা ও করপ্রদানে পদ্ধতি যদি সহজ করেন তখন তারা সঠিক আয় ঘোষনা করবে। আমরা বলতেছি করদাতার সংক্ষা ৩৮ লাখ রেজিসস্টার্ড আর ১৬ লাখ রির্টান দেন। তাহলে মধ্যম আয়ের যে এক কোটি মানুষ তাদের আয়তো তিন লাখের উপরে।
আসছে বাজেটে সবচেয়ে আলেচিত নাম নতুন ভ্যাট আইন। এখানে একটির বদলে বহু ভ্যাটহার নির্ধারনে ভ্যাট আদায়ে সমস্যা হবে। ভ্যাট ফাকি দেওয়ার সুযোগ বাড়বে এমন আশংকাও প্রকাশ করেন তারা।
এ প্রসঙ্গে ভ্যাট হার পর্যালোচনা কমিটির চেয়ারম্যান আলী আহমেদ বলেন, এটা বাস্তবায়ন করার জন্য কম্পিউটার ও অনলাইনের কোনো প্রস্তুতি নেই। তার পর থেকে আমি আশংকা করছি এখানে চরম নৈরাজ্য হবে। এটা বলতেও আমার দু:খ বোধ হচ্ছে। সরকার বলছে তারা তালিকা প্রকাশ করবে কোন ক্ষেত্রে কেমন ভ্যাটের হার। তাহলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজন কীভাবে মনেরাখবে তারা কোন হারের আওতায় আসবে। এই নিয়ে সমস্যা চলতে থাকবে অনেক দিন। বাংলাদেশের বাস্তবতা মনে রেখে আমি বলছি।
অনলাইনে ভ্যাট আদায়ের কথা বললেও এখনো ইলেকট্রনিকাল ফিসকাল ডিভাইস আনতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। কাঠামো সহজ হলে রাজস্ব আদায় সহজ হয়। অথচ সরকার ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে চায় ১ টির বদলে ৬ টি ধাপে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন