অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল আজ বাজেট পেশ করবেন এবারের বাজেটের চ্যালেঞ্জ হবে কৃষক ও উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা
বিশ্বজিৎ দত্ত : বাজেট আর ক্রিকেট এ নিয়ে প্রায় সবাই কথা বলতে পারে কিন্তু বাজেট প্রণয়ন ও পরে বাস্তবায়ন করা কঠিন কাজ। এমনটাই বলছিলেন বাজেট প্রণয়ণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা জানান, এবারের বাজেট প্রণয়নে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কৃষক ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের জন্য যে প্রকল্পগুলো ঘোষণা করা হয়েছে তার অর্থসংস্থান কোথা থেকে হবে। আবার আগের বছরের আর্থিক সংগতির ধারাবাহিকতাও রক্ষা করতে হবে এবারের বাজেটে। এ দুটি বিষয় মাথায় নিয়েই এবারের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। আজ অর্থমন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ সালের বাজেট পেশ করবেন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। গতকাল মন্ত্রীর পিএস জানিয়েছেন, সুস্থ আছেন তিনি। আজ বিকাল ৩ টায় বাজেট উপস্থাপন করবেন। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এটা প্রথম বাজেট। একইসঙ্গে বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালেরও এটি প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী এবার তার বাজেটের শিরোনাম করেছেন ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হবে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার। নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ৫৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। আর প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি থাকছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা।
এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে করবহির্ভূত আয় ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে ঋণ নেয়া হবে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক সহায়তা বাবদ ঋণ নেয়া হবে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা থেকে নেয়া হবে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে নেয়া হবে ২৭ হাজার কোটি টাকা।
এবার বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। নতুন বছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখারও চেষ্টা করা হবে বলে বাজেটে উল্লেখ থাকছে।