বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ আকর্ষণের বিশ্ব প্রতিযোগিতা বেড়েছে, আঙ্কটাড প্রতিবেদন
নূর মাজিদ : সংরক্ষণবাদি বাণিজ্যনীতি, অতিরিক্ত পণ্য শুল্কবাঁধা, স্থানীয় উৎপাদনে সরকারি প্রণোদনা ইত্যাদি ইস্যুতে যখন বিশ্বের বাণিজ্যিক কার্যক্রম অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে, ঠিক তখনই উন্নয়নশীল এবং উদীয়মান দেশগুলোর সরকার নিজ দেশে বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছে। তারা নতুন অনেক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (সেজ) স্থাপন করছে বা চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে। এই ধরণের সেজ প্রকল্পগুলো বরাবরই বিশেষায়িত হওয়ায় তাতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিশেষ শুল্কছাড়, করহ্রাস ও অন্যান্য সুবিধা দেয়া হয়। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (আঙ্কটাড) তাদের চলতি বছরের ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্টে জানিয়েছে, নতুন শিল্পনীতি প্রণয়ন এবং সেজ স্থাপনের পরিমাণ বাড়ার সংসঙ্গে বিশ্বব্যাপী এসব শিল্পাঞ্চলে বিনিয়োগে প্রতিযোগিতা এবং লগ্নির পরিমাণও বেড়েছে। সূত্র : আঙ্কটাড ডটআরজি
বিশ্বব্যাপী সেজগুলোর সংখ্যা বর্তমানে ৫ হাজার ৪শ টিতে উন্নীত হয়েছে। মাত্র পাঁচ বছর আগেই মাত্র ৪ হাজার এমন বিশেষায়িত অঞ্চল ছিলো। অর্থাৎ মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে দেড় হাজার নতুন সেজ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে বিদেশী পুঁজি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে। এছাড়াও, আরও ৫শ সেজ প্রকল্প এখনও প্রস্তাবনা পর্যায়ে বা নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে। এগুলো চালু হলে মোট ৬ হাজার সেজ হবে বিশ্বজুড়ে। বর্তমানে ১৪৫টি দেশে এই সেজগুলো পরিচালনা করছে।
এই বিষয়ে আঙ্কটাডের সেক্রেটারি জেনারেল মুখিশা কিতুশা কিতুউই বলেন, ‘অর্থনৈতিক চিত্রে পরিবর্তন আনতে সেজগুলো বিশেষ অবদান রাখছে। বিশেষ করে, বৈশ্বিক সরবরাহ ও উৎপাদন ব্যবস্থায় তারা নতুন গতি সঞ্চার করেছে। তবে সব সেজের বিষয়েই এই ধরনের ইতিবাচক অগ্রগতি বা সফলতা লাভ করা সম্ভব হয়নি। এখনও, অনেক সেজে প্রত্যাশিত পরিমাণে বিদেশী বিনিয়োগ এবং শিল্পস্থাপনের গতি আসেনি।’
তবে এই অবস্থার নিরসনে সেজগুলো এখন আরো আকর্ষণীয় এবং সহজ শর্তে বিনিয়োগের পরিকল্পনা কার্যকর করছে। বিশেষ করে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতির টাল-মাটাল অবস্থার অবস্থার সঙ্গে টাল মিলিয়ে বিনিয়োগ প্রবাহ আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসব নীতি নেয়া হচ্ছে। সম্পাদনা : ইকবাল খান