২০২৪ সালে আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাজার ৪ হাজার কোটি ডলার হবে, গবেষণা প্রতিবেদন
নূর মাজিদ : বিশ্বব্যাপী আবর্জনা ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাহিদা বৃদ্ধি এই বাজারটির বিকাশের পেছনে মূল অবদান রাখবে। যা ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বাড়বে। ফলে ২০২৪ সালে বৈশ্বিক আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শিল্পের আর্থিকমূল্য হবে ৪ হাজার ২৫০ কোটি ডলার। চলতি বছর প্রকাশিত বাজার গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়, বাণিজ্যিক তথ্য গবেষণা ওয়েবসাইট রিসার্চঅ্যান্ডমার্কেট ডটকম। সূত্র : রিসার্চঅ্যান্ডমার্কেট ডটকম।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, বিশ্বব্যাপী নাগরিক আবর্জনাকে গঠনমূলক উপায়ে কাজে লাগানোর তাগিদ জোরদার হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপুল পরিমাণ জৈবিক আবর্জনা পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণ অনেকটাই এড়ানো যায়। এছাড়াও, এই ধরনের আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও কম। এসব কারণ বাজারটির ক্রমবিকাশের পেছনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।
এদিকে, আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং এর সঙ্গে শিল্পোৎপাদক সংস্থাগুলোর বাণিজ্যিক সংযোগ জোরদার হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর যে ছাই পাওয়া যায়, সেটাও বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক মূল্যে বিক্রি করা যায়। কৃষিকাজ এবং পতিত জমি ভরাটের কাজে এই ছাই খুবই কার্যকর। বিশ্বব্যাপী নগরায়নের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে তাই আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রমে পরিবেশ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা থেকে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে।
এছাড়াও, পরিবেশদূষণ ঠেকাতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রচলিত জ্বালানি উৎসের দ্রুত নিঃশেষ হওয়ার গতিবৃদ্ধি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন গতি সঞ্চার করছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন জৈবিক বর্জ্য ব্যবহারকারী বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহজ শর্তে বড় অংকের ঋণ দিচ্ছে। জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো এইক্ষেত্রে ইতিবাচক অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।
বিশ্বের সবচাইতে বড় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাজার এখন ইউরোপে। ২০১৬ সালে থেকে বাজারটি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০২৪ সাল নাগাদ ইউরোপীয় বাজারটির আকার দেড় হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে। ২০১৬ সালে এই বাজারের আকার ছিলো ৯৮০ কোটি ডলার। জার্মানি ইউরোপের সবচাইতে বড় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদক দেশ। ২০১৬ সালে ইউরোপের বাজারের ২১ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিলো জার্মানির দখলে। ২০২৫ সালে দেশটি বর্জ্যবিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউরোপের ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ বাজারের প্রতিনিধিত্ব করবে। সম্পাদনা : ইকবাল খান