জাজিরায় পদ্মাসেতুতে রেলওয়ে গার্ডার বসানো শেষ
ইয়াছির আরাফাত : দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মাসেতুর কাজ। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে (সেতুর গোড়া) রেলওয়ে গার্ডার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। আটটি পিলারে মোট ৪২টি গার্ডার বসানো হয়েছে। রেল চলাচলের জন্য এসব গার্ডার বসানো হয়। রোববার বিকেলে জাজিরা প্রান্তে জে-৭ ও জে-৮ নম্বর পিলারের ওপর গার্ডার বসানোর মধ্য দিয়ে রেলওয়ে গার্ডার বসানোর কাজ শেষ হয়। রেলওয়ে গার্ডার বসানো পিলারগুলো হলো- পি-৪২, এন-১৯, এন-২০, এন-২১, এন-২২, এন-২৩, জে-৭ ও জে-৮। সূত্র : বাংলানিউজ
প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, একটি স্প্যানে ছয়টি গার্ডার বসেছে। সাতটি স্প্যানে বসেছে ৪২টি গার্ডার। সাতটি স্প্যান বসেছে আটটি পিলারে। ছয়টি গার্ডার বসানোর মাধ্যমে পরিপূর্ণ হয় একটি স্প্যান। সাতটি স্প্যান হলো জে-১, জে-২, জে-৩, জে-৪, জে-৫, জে-৬, জে-৭। আর এসব স্প্যানে বসানো গার্ডারের দৈর্ঘ্য ৩৮ মিটার। এর উপরের অংশের প্রস্থ ০.৬০ মিটার এবং পাদদেশের প্রস্থ ০.৮০ মিটার। একটি পিলার থেকে আরেকটি পিলার পর্যন্ত ছয়টি গার্ডার বসানো হয়। ক্রেনের সহায়তায় এসব গার্ডার পিলারের উচ্চতায় উঠিয়ে বসানো হয়েছে। দুইটি পিলারের বিয়ারিংয়ের উপর আর বাকিগুলো স্যান্ড বক্সের উপর বসানো হয়।
পদ্মাসেতুর ভায়াডাক্টের প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের এপ্রিলে পদ্মাসেতুর জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টে (সেতুর গোড়া) রেলওয়ে গার্ডার বসানোর কাজ শুরু হয়। জাজিরা প্রান্তে ২৬৬ মিটার রেলওয়ে গার্ডার বসানো হয়। এসব গার্ডার এক হাজার টনের বেশি লোড নিতে পারে। গার্ডার বসানোর পর স্ল্যাব বসানো হবে। রেলওয়ে গার্ডার বসেছে শুধু ভায়াডাক্টে। জানা যায়, পদ্মাসেতুর ভায়াডাক্টের অগ্রগতি মাওয়া প্রান্ত থেকে জাজিরা প্রান্তে বেশি। ভায়াডাক্টের ৩ দশমিক ১৪৮ কিলোমিটার সড়ক এবং ৫৩২ মিটার রেলপথ। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে সেই দেশেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।