খেলাপি ঋণ মহামারি আকার ধারণ করেছে, বললেন রুমিন ফারহানা
শিমুল মাহমুদ : বাংলাদেশে বর্তমানে এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা মন্দ ঋণ। অবলোপন ধরলে এক লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নানা রকম লুকিয়ে রাখা ঋণ যদি এর সঙ্গে যুক্তি করা হয় তাহলে সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার ওপরে। যা বিপজ্জনক, কোনো সন্দেহ নেই। গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি আয়োজিত ‘সিপিডি বাজেট ডায়লগ-২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমন একটা দেশ, অতি ধনী বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ। অতি ধনী মানে ২৫০ কোটি টাকার ওপরে যাদের সম্পদ। গরিব বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ তৃতীয় সর্বোচ্চ। দরিদ্র ও ধনীদের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে, এটা কমানোর ব্যাপারে বাজেটে কিছুই বলা নেই।
রুমিন ফারহানা বলেন, বাজেটে ঘাটতি ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এই ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ও আভ্যন্তরীণ ঋণের কথা বলা হয়েছে। বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে ৬৪ হাজার কোটি টাকা, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো থেকে নেওয়া হবে ৪৭ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোর বর্তমান অবস্থা কী?
এই পরিমাণ ঋণ যদি ব্যাংকগুলো থেকে নেওয়া হয়, তাহলে দেশের বিনিয়োগের অবস্থা কী দাঁড়াবে? আপনারা জানেন, গত এক দশক ধরে দেশে বিনিয়োগ স্থবির হয়ে আছে। বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান তৈরি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে উল্লেখ করে এ সাংসদ বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা সামাজিক সুরক্ষা খাতে যে ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে, যে প্রত্যাশা ছিল এসব খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে, সেটার বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু