চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এই সময়ে সবচেয়ে কম, বললেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
আনিস তপন : ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)র গবেষণা প্রতিবেদনে জনপ্রশাসনের কার্যাবলী নিয়ে ঢালাও অভিযোগ করা হয়েছে দাবি করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, পরিস্থিতি ওরকম নয়। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন দাবি করেন সচিব।
‘জনপ্রশাসনে শুদ্ধাচার : নীতি ও চর্চা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে টিআইবি দাবি করে, জনপ্রশাসনে পদায়ন ও পদোন্নতিতে রাজনৈতিক বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে, ফলে মেধা উপেক্ষিত হচ্ছে। এমনকি বিধিমালায় না থাকলেও পদোন্নতিতে গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নিউজে যতোটুকু আছে, তা আমিও জানি, আপনারাও জানেন। তিনি বলেন, রিপোর্টটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে এখনও তা আমি দেখিনি। তারা ঢালাওভাবে যা বলছেন, আমাদের কাজগুলো ওরকম নয়।
প্রতি ৫ বছর পর পর কর্মকর্তা-কর্মচরীদের সম্পদের হিসাব দেয়ার কথা বিধিতে বলা আছে। এটা হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এটা আমরা দিয়েছি, অনেক দিন চাওয়া হয়নি। চাওয়া হলে দিতে হবে। এটাই নিয়ম। জনপ্রশাসন এর হিসাব রাখে। ৫ বছর পর চাইবে, দিবে, এটাই নিয়ম। না চাইলে দেয়ার কথা নয়।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে টিআইবির আপত্তি প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ মনে হয় এই সময়ে সবচেয়ে কম। আমরা অল্প কয়েকজন আছি। খুবই কম, মিনিমাম নাম্বার।
প্রশাসনের উচ্চ স্তরে বেশি পদোন্নতি দেয়ায় নিচের পদগুলো ফাঁকা থাকে, টিআইবির এমন দাবি প্রসঙ্গে শফিউল আলম বলেন, আমাদের রিক্রুটমেন্ট সেই পরিমাণ শূন্য পদ ফিলাপ করতে পারছে না। একজন সহকারী কমিশনার ৫ বছরের মাথায় ইউএনও হন। মাঝখানের পদগুলো ফাঁকা থেকে যায়। যা একটি সমস্যা। যে কর্মকর্তা যোগ্যতা অর্জন করে তিনি ইউএনও হন, তাই সে তখন ছোট পদে কাজ করবে কেন? সম্পাদনা : রেজাউল আহসান