ইরানের সর্বোচ্চ নেতাসহ কয়েক শীর্ষ ব্যক্তির উপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অবরোধ
আব্দুর রাজ্জাক : এবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ ও তার সহযোগিদের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ২০ জুন হরমুজ প্রণালীতে মার্কিন একটি সামরিক ড্রোন ভূপাতিত করার জবাবেই এই অবরোধ দেয়া হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা।
মার্কিন ড্রোনটি ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ভূপাতিত করায় আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞায় এই বিশেষ বাহিনীর ৮ জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকেও অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এতে নিষেধাজ্ঞায় থাকা কর্মকর্তাদের মার্কিন বিচারের আওতায় পড়ে এমন সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের চলমান আগ্রাসনের জন্য দেশটির সর্বোচ্চ নেতা ও তার সহযোগিরাও দায়ী। তাই আয়াতুল্লাহ খামেনি, তার দফতর, ঘনিষ্ট সহযোগি ও তার নিয়ন্ত্রণে থাকা সকল দফতরকে এই অবরোধে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’
গত মে মাসে ইরানের তেল আমদানি বন্ধ না করলে সকল দেশকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের চলমান টানাপোড়েন চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। তবে খামেনির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তেমন কার্যকর হবে না বলে মন্তব্য করেছে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদক। কেননা, তিনি গত ৩০ বছরে দেশের বাইরে কোনো সফরে যাননি। ১৯৮৯ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তিনি এক রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে গিয়েছিলেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, খামেনেয়ী ও শীর্ষ নেতাদের ওপর আরোপিত মার্কিন অবরোধ কূটনৈতিক রাস্তা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নজিরবিহীন অবরোধকে অবৈধ ও অন্যায় আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ইতোমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। তবে ঠিক কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে তা স্পষ্ট করেননি রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রেবকোভ। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ