৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর নিয়ে বিরোধে দুই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী জেরেমি ও বরি
লিহান লিমা: ব্রিটেনে কিভাবে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বের হবে এটি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন ব্রিটেনের দুই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বরিস জনসন ও জেরেমি হান্ট। এই দুই নেতাই ইউরেপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে নতুন চুক্তি করার দাবি করেছেন যদিও ইইউ বলে দিয়েছে, ব্রেক্সিট নিয়ে আর কোন চুক্তি করবে না তারা। বিবিসি, ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড।
এক সাক্ষাতকারে জনসন বলেছেন, যাই হোক না কেন তিনি ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ব্রেক্সিট কার্যকর করবেন। এদিকে হান্ট বলছেন, এটি একটি ‘ভুয়া সময়সীমা’, কারণ পার্লামেন্ট চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট প্রত্যাখ্যান করলে এটি সাধারণ নির্বাচন ডেকে আনবে। হান্ট জানান, তিনি চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে নির্ধারিত সময়সীমায় বেরিয়ে যেতে প্রস্তুত। তবে যদি কোন ভাল চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয় তবে তিনি এটি করবেন না।
জনসনকে সমর্থন দেয়া সাবেক ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেন, ব্রেক্সিটের জন্য আরো বাড়তি সময় নেয়ার সম্ভাবনা দেখিয়ে হান্ট ‘দুর্বলতা’ ও ‘ ছেলেমানুষি’ দেখাচ্ছেন। বাড়তি সময় চাওয়া মানেই আলোচনায় নিজের প্রাধান্যকে কমিয়ে আনা। তিনি আরো বলেন, এটি দ্বিতীয় গণভোটের পথ উন্মুক্ত করবে।
তবে জেরেমিকে সমর্থন দেয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রী লায়াম ফক্স ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য নিয়ে জনসনের মন্তব্যের সমালোচনা করেন। জনসন দাবি করেছিলেন, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট হলে ব্রিটেন ইইউ’র সঙ্গে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাবে। কিন্তু ফক্স বলছেন, এর জন্য অবশ্যই ইইউ’র সঙ্গে চুক্তির প্রয়োজন হবে। আর ব্রাসেলসও পরিষ্কার করে দিয়েছে, এটি হবার নয়।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী রোরি স্টুয়ার্ট বলেন, ‘যদি রক্ষণশীল দল চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট পার্লামেন্টে তোলে আমি অবশ্যই এর বিপক্ষে ভোট দেব।’ তিনি আরো বলেন, ‘চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবো কিন্তু অনাস্থা ভোট এনে জেরেমি করবিনকে সরকারে আনব না।’ প্রসঙ্গত, টোরি দলের নেতৃত্বের দৌড়ে শীর্ষে থাকা বরিস ও জেরেমির মধ্যে বিজয়ী প্রার্থী ২৪ জুলাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র কাছ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। সম্পাদনা : ইকবাল খান