আক্তারুজ্জামান : ফুটবলের ক্ষুদে যাদুকরের তকমা পেয়েছিলেন সেই কিশোর বেলায়। তারপর থেকে প্রতিদিন ফুটবল অঙ্গনের শিরোনাম হয়েছেন আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি। তাকে নিয়ে প্রশংসা, সমালোচনা সবই হয়। কিন্তু এবার সেই মেসিকে নিয়ে সমালোচনা এবং তার বেতন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘ! তার আচরণ বা পারফরমেন্স নিয়ে না, বরং নারী ও পুরুষ ফুটবলারের বেতন বৈষম্য নিয়ে মেসির উদাহরণ টেনেছে ইউনাইটেড নেশন উইমেন। খবর : গোল ডট কম ও স্পোর্টসকীডা
দক্ষিণ আমেরিকার সব ফুটবলারের মতো মেসিও বর্তমানে কোপা আমেরিকা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। তবে মেসির মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাচ্ছে না ইউনাইটেড নেশন উইমেন। বরং ক্লাব থেকে মেসির পাওয়া বেতন নিয়ে তাদের যতো সমালোচনা। কেন মেসিকে এত বেতন দেয়া হচ্ছে এমনটাই প্রশ্ন এ সংস্থার। মেসি বেশি বেতন পাচ্ছেন এ নিয়ে নয়, বরং সংস্থাটি নারী ফুটবলারদের পাওয়া বেতনই মেসির বেতনের দিকে তাদের দৃষ্টি টেনেছে।
নারী ফুটবলের সঙ্গে পুরুষ ফুটবলে বেতনের মধ্যে বৈষম্যটা রীতিমতো দৃষ্টিকটু। শুধুমাত্র মেয়েদের ফুটবলকে ছেলেদের ফুটবল দলের মতো গুরুত্ব দেয়া হয় না বলে এবং বেতন বৈষম্যের কারণে চলতি বিশ্বকাপে খেলছেন না অ্যাডা হ্যাজারবার্গ। নরওয়ে দলের জন্য ব্যাপারটা অনেক বড় এক ধাক্কা। কারণ হ্যাজারবার্গ শুধু এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীই নন, লিঁওর হয়ে টানা চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছেন এই ফুটবলার।
জাতিসংঘের ফেসবুক পেজের এক পোস্টে একটি ছবি দেয়া হয়েছে। সে পোস্টেই জানিয়েছে ইউরোপের ৭টি সেরা লিগে খেলা ১ হাজার ৬৯৩ জন নারী ফুটবলাররা সবাই মিলে যে বেতন পান, সেটা মেসির একার বেতনের অর্ধেক! ইউরোপের সেরা সাতটি লিগের এই ফুটবলারদের মোট বেতন ৪২.৬ মিলিয়ন ডলার। সঙ্গে লিখে দেয়া হয়েছে, ‘একজন পুরুষ ফুটবলার ইউরোপের সেরা সাত লিগের মেয়েদের মোট বেতনের দ্বিগুণ পাচ্ছেন। বিশ্বকাপ চলার সময়েই খেলাধুলায় মেয়েদের সমান বেতনের দাবি চেয়ে ইউএন নেশনসের আন্দোলনে যোগ দিন।’
বেতন বৈষম্য নিয়ে এমনিতেই প্রচুর ঝামেলা হচ্ছে। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ ফুটবলার মামলা করেছেন বোর্ডের বিরুদ্ধে। বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে অ্যালেক্স মরগান, মেগান র্যাপিনু, কার্লি লয়েডদের দাবির মুখে বিশ্বকাপ শেষ হলেই সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বোর্ড। এখন দেখার বিষয় বৈষম্য কতটা দূর হয়। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব