১৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে চীনের শিল্পোৎপাদন প্রবৃদ্ধি
ইকোনমিক টাইমস : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব পড়ছে চীনের অর্থনীতিতে। চলতি বছরের মে মাসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির শিল্পোৎপাদন প্রবৃদ্ধি ১৭ বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম পৌঁছেছে। শেয়ার বিজ
চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের তথ্যমতে, মে মাসে দেশটির শিল্পোৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে পাঁচ শতাংশ। ২০০২ সালের ফেব্রæয়ারির পর এটিই সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি এ খাতে। আগের মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল পাঁচ দশমিক চার শতাংশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল প্রবৃদ্ধি হবে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ।
মে মাসে প্রকাশিত আরও কিছু উপাত্ত দেখলে স্পষ্ট হয় চীনের অর্থনীতিতে বাণিজযুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। গত মাসে দেশটির খুচরা বিক্রি প্রবৃদ্ধি সাত দশমিক দুই শতাংশ থেকে বেড়ে আট দশমিক ছয় শতাংশ হয়েছে। ২০০৩ সালের পর এ খাতে প্রবৃদ্ধি গত এপ্রিলে ছিল সবচেয়ে কম। পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল মে মাসে খুচরা খাতে প্রবৃদ্ধি হবে আট দশমিক এক শতাংশ।
গত মাসে চীনের স্থায়ী মূলধনি বিনিয়োগের পরিমাণও কমেছে। স¤প্রতি প্রকাশিত চীন সরকারের বাণিজ্যিক তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়। উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চীন সরকারকে যে আরও বেশি আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে, এ উপাত্ত তেমনটাই ইঙ্গিত দেয়। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, জানুয়ারি ও এপ্রিলে স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগে যে ছয় দশমিক এক শতাংশ বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল, মে মাসে সেটার অবনতি ঘটে, যার ফলে উৎপাদন কার্যক্রমে এর প্রভাব পড়ে।
গত মে’র শুরুতে ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে প্রতিশ্রæতি ভঙ্গের অভিযোগ এনে দেশটির প্রায় ২০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে ১৫ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়ে তা ২৫ শতাংশে উন্নীত করেন। আরও প্রায় ৩০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য প্রতিনিধিদের প্রস্তুতির নির্দেশ দেন।
স¤প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছেন, ২০১৮ সালে শুরু হওয়া বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় শুল্কারোপ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। প্রয়োজনে চীনের পণ্যে আরও এক দফা শুল্কারোপ করা হবে। জবাবে বেইজিং বলেছে, শেষ পর্যন্ত লড়তে তারা প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্রকে তারা উপযুক্ত জবাব দেবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ