আক্তারুজ্জামান : ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে মাঠে নেমে কোনও দাপট দেখাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। উল্টো দক্ষিণ আফ্রিকার গতির সামনে পরাস্ত হয়েছে বারবার। সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে জয় ছাড়া কোন বিকল্প নেই এবং হারলে বিদায় নিশ্চিত লঙ্কানদের। এমন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আগে ব্যাটিং করে ২০৩ রানেই গুটিয়ে গেছে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। ডারহামের কাউন্টি মাঠে দুই পেরেরা ও দুই মেন্ডিসের সঙ্গে আভিস্কা ফার্নান্দোর ব্যাটে ভর করেই দুশো পেরোনো ইনিংস দাঁড় করিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
আসরের ৩৫তম নিজেদের অষ্টম ম্যাচে নেমেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। আসরের বাকিসব ম্যাচ জিতলেও আর পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ নেই প্রোটিয়াদের। কেননা শুরুর দিকে সবগুলো ম্যাচে হেরে তার ব্যাকফুটে চলে গেছে। এখন বাঁচা-মরার লড়াই লঙ্কানদের। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রিটোরিয়াস, ক্রিস মরিস ও রাবাদার কাছে একেবারে অসহায় ছিলো লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা।
ক্রিজে নেমে ইতিহাসের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন করুণারতেœ। পরে দলের হাল ধরেন কুশাল পেরেরা ও আভিস্কা ফার্নাদো। ৬৭ রানে জুটি গড়ার পর উইকেটে আঘাত হানেন প্রেটোরিয়াস। দশম ওভারের পঞ্চম বলে ৩০ রানে ফার্নান্দোকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন তিনি। দলীয় ৭২ রানে ফের কুশাল পেরেরাকে (৩০) ফেরালেন প্রেটোরিয়াস।
এরপর দলীয় শত রানের মাথায় ক্রিজ মরিসের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অ্যাঞ্জেলো মেথুস। এর ১১ রান পরই মরিসের হাতে বন্দি করে কুশাল মেন্ডিসকেও (২৩) ফেরান তিনি।
ধঞ্জয়া ডি সিলভা আশা দেখালেও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। ডুমিনির প্রথম বলেই ২৪ রান করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন থিসারা পেরেরা ও জীবন মেন্ডিস। কিন্তু মেন্ডিসকে (১৮) প্রেটোরিয়াসের হাতে বন্দি করে দলীয় ১৬৩ রানে ফিরিয়ে দেন মরিস। ২১ রান করে ফিরে যান পেরেরাও। আন্দেইল ফেলুকাওয়োর বলে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন রাবাদা। দলীয় ১৯৭ রানে ৯ম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ইসুরু উদানাকে (১৭) ফিরিয়ে দেন রাবাদা। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলের ২০৩ রানে আউট হয়ে যান লাসিথ মালিঙ্গা (৪)। দ.আফ্রিকার হয়ে মরিস ও প্রেটোরিয়াস তিনটি করে, রাবাদা দুটি এবং ফেলুকাওয়ো ও ডুমিনি একটি করে উইকেট নেন।