শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি ধরে রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে আইএমএফ
আসিফুজ্জামান পৃথিল : অসাধারণ অর্থনৈতিক অগ্রগতি আর প্রবৃদ্ধি অর্জনে সফলতার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। আইএমএফ বলছে, এবছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে কমপক্ষে ৭ শতাংশ আর মুদ্রাস্ফীতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছিই থাকবে। পাবলিক ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক তহবিলটি বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিমালা এই উন্নতির প্রধান নিয়ামক। তবে বাংলাদেশের জন্য এখনও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিৎ নতুন করে কর পুনঃমূল্যায়ন করা প্রধান বিবেচ্য হওয়া উচিৎ। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসা আইএমএফ দলের প্রধান দাইশাকু কিহারা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অফর্থবছরে দেশটি ৮ শতাংশের কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। অথচ মূল্যস্ফীতি অতি সামান্য হয়েছে। এটিও হয়েছে খাদ্যদ্রব্যের বেশি দামের কারণে। সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও বেড়েছে। এর প্রধান নিয়ামক তৈরী পোশাক শিল্প। এছাড়া রেমিট্যান্স থেকে আয়ও গতিবৃদ্ধি করেছে।’
কিহারা পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ এর মুদ্রানীতিতে পরিবর্তন আনার। তিনি বলেছেন, আধুনিক যুগের সঙ্গে পাল্লা দিতে মুদ্রানীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা জরুরী। বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে জ¦ালানী তেলের উচ্চমূল্য, দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকা অর্থনীতি এবং মূল্যস্ফিতির শঙ্কা। তিনি বলেন সরকারের উচিৎ করনীতিতে সম্পূর্ণ পরিবর্তন এনে আরো অধিক আয়ের ব্যবস্থা করা। এছাড়াও ভর্তুকি কমানোও অতি জরুরী। আইএমএফ বিশ^াস করে বাংলাদেশ খুব সহজেই উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। তবে ব্যাংক খাতে সংস্কার আনা খুবই জরুরী বিষয়। কিহারা বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির পরেও ব্যাংক খাতে টালমাটাল অবস্থা বিরাজমান। খেলাপী ঋণের পরিমাণ ব্যাপক। এ কারণ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।’
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র আনার জন্য আরো উদ্যোগ নেওয়া জরুরী বলে মনে করে আইএমএফ। কিহারা বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাধারণ ও উচ্চগতির অর্থনীতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতিতে বৈচিত্র জরুরী। বাংলাদেশে দারিদ্র চোখে পড়ার মতো কমেছে। এটিকে ধরে রেখে অর্থনীতির অন্য খাতগুলোকেও গতিশীল করতে হবে। শুধু পোশাক শিল্পের উপর ভরসা করে উন্নতি কঠিন।’ সম্পাদনা : ইকবাল খান