আমাদের বিশ্ব • আমার দেশ • খেলা • প্রথম পাতা
আজ মাঠে নামলেই বিশ্বকাপে নতুন রেকর্ড হবে সাকিব-তামিম-মুশফিকের
আক্তারুজ্জামান : ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশের একদল তরুণ ক্রিকেটার। বাংলাদেশের দারুণ সেই জয়ে ফিফটি পেয়েছিলেন তিন তরুণ সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। সেই থেকে শুরু, এরপর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই সাকিব-তামিম-মুশফিকদের ম্যাচও। বাংলাদেশ দলের হয়ে এই তিন তরুণ পেয়েছেন ‘ত্রিরতœ’ খেতাব। এবারের বিশ্বকাপে আজ ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে বাংলাদেশ। আজ মাঠে নামলেই বিশ্বকাপে একটানা ২৮ ম্যাচ খেলার দারুণ রেকর্ডে নাম লেখাবেন এ ত্রিরতœ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ত্রিরতেœর আবির্ভাবের পর চার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে ২৭টি। সবকটি ম্যাচেই দলে থেকে দারুণ এক রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলেছেন সাকিব, তামিম ও মুশফিক। বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোনো দলের নির্দিষ্ট তিন খেলোয়াড়কে নিয়ে টানা সর্বোচ্চ ২৭ ম্যাচ খেলার উদাহরণ আছে আরও দুটি। দুটি উদাহরণই শ্রীলঙ্কানদের দুটি প্রজন্মের।
১৯৯৬ থেকে ২০০৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত একসঙ্গে টানা ২৭টি ম্যাচ খেলেছেন জয়সুরিয়া, মুরালিধরন ও চামিন্দা ভাস। ২০০৭ থেকে ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত টানা ২৭ ম্যাচ খেলে তাদের সেই রেকর্ডে পরে ভাগ বসিয়েছেন জয়াবর্ধনে, সাঙ্গাকারা ও দিলশান।
সাকিব-তামিম-মুশফিকদের সুযোগ এবার লঙ্কানদের ছাড়িয়ে যাওয়ার। আজ এজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামলেই রেকর্ডটা এককভাবে নিজেদের করে নেবেন বাংলাদেশের ত্রিরতœ। বৃষ্টিতে এবারের বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি কিংবা ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি একেবারেই ভেসে না গেলে অবশ্য টানা ২৯ ম্যাচ খেলে ফেলতেন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা।
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার তিন খেলোয়াড় গেøন ম্যাকগ্রা, রিকি পন্টিং ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট একসঙ্গে খেলেছেন ৩১টি ম্যাচ। তিনজন অবশ্য একটানা সর্বোচ্চ ১৯টি ম্যাচ খেলেছেন একত্রে। শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া, মুত্তিয়া মুরালিধরন ও চামিন্দা ভাসও বিশ্বকাপে একত্রে খেলেছেন ৩১টি ম্যাচ। তবে একটানা নয়। বাংলাদেশ এবার ফাইনালে উঠে গেলে বিশ্বকাপে একসঙ্গে একটানা ৩১টি ম্যাচ খেলা হবে সাকিব-তামিম-মুশফিকদেরও। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব