বিআইডবিøউটিএর চতুর্থ দফা উচ্ছেদ অভিযান শুরু
ইয়াছির আরাফাত : প্রথম তিন পর্যায়ের অভিযান শেষে ঈদের ছুটিতে কিছুদিন বন্ধ ছিল বিআইডবিøউটিএর উচ্ছেদ অভিযান। ঈদের পর ঢাকার চারপাশের নদী তীরভ‚মি উদ্ধারে চতুর্থ দফায় অভিযান পরিচালনায় নেমেছে সংস্থাটি। আর এ দফায়ও গতিশীলতার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডবি�উটিএ)।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে বুড়িগঙ্গা নদীর কেরাণীগঞ্জ অংশের খোলামোড়া বিআইডবিøউটিএ লঞ্চঘাট থেকে অভিযান শুরু হয়। খোলামোড়া ঘাট থেকে সদরঘাট অভিমুখে উচ্ছেদ অভিযানটি অব্যাহত রয়েছে। অভিযান পরিচালনাকারী বিআইডবিøউটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, সকাল নয়টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে নদী তীরভ‚মি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বিপুল পরিমাণ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বেলা দেড়টা পর্যন্ত খোলামোড়া ঘাট থেকে বামনকির্তা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার জায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে টিনের ঘর, পাকা, আধাপাকা স্থাপনা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নদী তীরের ছোট-বড় দুই শতাধিক স্থাপনা এরই মধ্যে উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদের মধ্যে রয়েছে মসজিদের বর্ধিত অংশের ওজুখানা, কসটেপ তৈরির কারখানা, বই বাঁধার প্রেস, আলকাতরা কারখানা, বসতবাড়ি, গোয়ালঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বামনকির্তা এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণু পাল বলেন, ‘আগেই তো লাল দাগ দিয়ে গেছে। যারা মালামাল, ঘর সরায় নাই, তাগোডা ভাঙা পড়ছে। বেশিরভাগই আগেই সরাইয়া নিছে।’ লিয়াকত হোসেন নামে প্রবীণ এক ব্যক্তি বলেন, ‘দশ, পনেরো বচ্ছর আগে একবার ভাইঙ্গা গেছে। অনেকেই আবার ঘর বানাইছে। কি করব, মাথা গোঁজার ঠাই নাই। আইজ যাগো ঘর ভাঙছে, তাগো অনেকেরই রাইতে থাকার মত জাগা নাই।’ চতুর্থ দফার প্রথম পর্বের অভিযান চলবে আজ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। প্রতি পর্বে তিন দিন করে চার পর্বে মোট ১২ কার্যদিবস উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে বিআইডবি�উটিএ। এর আগে তিন দফায় ৩৬ কার্যদিবসে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৫৭৫ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৯১ একর নদী তীরভ‚মি।