রাখাইনে নতুন করে যুদ্ধাপরাধ হয়েছে বলে জানালো জাতিসংঘ
আসিফুজ্জামান পৃথিল : মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নতুন করে মানবতা লঙ্ঘন করছে। বেসামরিক নাগরিকদের উপর সংঘঠিত এসব ঘটনা কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধের শামিল। এই মন্তব্য করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তা। ইয়ন নিউজ।
২০১৭ সালে সামরিক বাহিনীর হামলায় দেশটির রাখাইন রাজ্যের প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তখনও জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তঅরা বলেছেন মিয়ানমার গণহত্যা, গণ ধর্ষন, বড় ধরণের অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধ করেছে। পরবর্তীতে জাতিসংঘ এই ঘটনাতে গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সীমান্ত সংশ্লিষ্ট রাখাইন ও চীন রাজ্যে নতুন করে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই দুই রাজ্যের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে আরাকান আর্মি নামের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। জাতিসংঘের স্বাধীন মানবাধিকার কর্মী ইয়াংহি লি মিয়ানমারে নিযুক্ত রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সম্ভবত রাখাইন রাজ্যে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট বন্ধ করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
বেসামরিক জনগন বিশেষত রাখাইন জনগোষ্ঠীর সদস্যদের পাঠানো প্রতিবেদনকে উল্লেখ করে জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালায়। তাদের হাতে আটক কয়েকজন ব্যক্তি মারাও গেছেন বলে লি জানান। তিনি আরো জানান, গত এপ্রিলে বাঁশ সংগ্রহ করতে যাওয়া রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের উপর সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো হয়। সম্পাদনা : ইকবাল খান