১ অক্টোবর থেকে ১৬ উপজেলার স্কুল শিক্ষার্থীরা দুপুরের খাবার পাবে
ইয়াসমিন : সরকারের স্কুল ফিডিং কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক রুহুল আমিন খান বলেন, ১ অক্টোবর থেকে ১৬টি উপজেলায় স্কুলে শিশুদের জন্য দুপুরের খাবার দেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন আমরা এই খাবার দেবার জন্য টেন্ডারের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে সারাদেশের সব স্কুলগুলোতে মিড ডে মিল চালু হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ঝরে পড়ারোধে ২০১০ এই স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু হয়। এই প্রকল্পে শিশুদের শুধু বিস্কুট দেয়া হতো। এই প্রকল্পটি এই বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে। এই প্রকল্পের শিশুদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার মিড ডে মিল দেয়ার সিদ্ধান্তে এসেছে। পরবর্তীতে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডবিøউএফপি)’র সহযোগিতায় বরগুনার বামনা, জামালপুরের ইসলামপুর এবং বান্দরবানের লামা উপজেলায় মিড ডে মিল বা দুপুরের খাবার দেয়া শুরু হয়। এরমধ্যে ২০১৬ সালে মন্ত্রণালয় জাতীয় স্কুল মিল নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯’ চূড়ান্ত করেছে। এই প্রকল্পের জন্য বছরে ব্যয় হবে আট হাজার কোটি টাকা।
এতদিন যে স্কুলগুলোতে খাবার দেয়া হয়েছে সেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য উচ্চপুষ্টি সম্পন্ন ৯০ গ্রাম চাল, ডাল ২৫ গ্রাম, উচ্চ পুষ্টি সম্পন্ন তেল ১২ গ্রাম, আলু ১৫ গ্রাম, সবজি ২০ গ্রাম, হলুদ এক গ্রাম, লবণ ও পরিমাণ মতো মসলা দিয়ে স্কুলের রান্নাঘরে তৈরি হয় খিচুড়ি। সপ্তাহের চার দিন খিচুড়ি, একদিন খিচুড়ির সঙ্গে ডিম এবং বৃহস্পতিবার দেওয়া হয় উচ্চপুষ্টি সম্পন্ন বিস্কুট। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে প্রথম শিফটের এবং দেড়টায় দেওয়া হয় দ্বিতীয় শিফটের খাবার। খাবার খাওয়ার জন্য শিশুরা বাড়ি থেকে টিফিন বক্স সঙ্গে করে নিয়ে আসে।
বর্তমানে বেসরকারি সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযান (ক্যাম্প)- দেশের ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার ৮০টি বিদ্যালয়ে তাদের স্কুল ফিন্ডিং কর্মসূচি চালু রেখেছে। সম্পাদনা : ইকবাল খান