স্থগিতাদেশের পরও মামলা পরিচালনা করায় হাইকোর্টে বিচারকের দুঃখ প্রকাশ
নূর মোহাম্মদ : উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত থাকার পরও বৃদ্ধা রাবেয়া খাতুনের মামলার কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. আল মামুন। তবে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে আগামী ১৭ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। একইসঙ্গে সন্ত্রাসী জুলহাস জীবিত না মৃত এ বিষয়ে ওই দিন প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে বিচারক আল মামুনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন। শুনানিতে আমিন উদ্দিন বলেন, নি¤œ আদালতের প্র্যাকটিস পেশকার আদেশ লিখে দেন, বিচারক স্বাক্ষর করেন। আমরা পেশকারকে শোকজ করবো। তারপর এ বিষয়ে লিখিতভাবে আদালতকে জানাতে পারবো।
শুনানির সময় আদালত বিচারককে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা বিচার বিভাগের অংশ। আপনাদের সুনাম হলে বিচার বিভাগের সুনাম হয়। আবার দূর্নাম হলে বিচার বিভাগের দুর্নাম হয়। এক পর্যায়ে বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে আদালত বিচারক মামুনকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।
এদিকে গতকাল নির্দেশ অনুযায়ী বৃদ্ধা রাবেয়া খাতুনের জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করা হয়। এতে দেখা যায় তার বয়স ৮৬ বছর। যদিও এর আগে তিনি নিজের বয়স শত বছর বলে দাবি করে ছিলেন। এর আগে গত ২৬ জুন বিচারক মামুনকে তলব করেন হাইকোর্ট। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান