দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করার কথা জানালেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
আনিস তপন : দেশের সকল পর্যায়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হুশিয়ার করলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বুধবার সচিবালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সম্মেলন কক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০১৭-১৮ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল একটি দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করা। সে অঙ্গীকার পূরণে দেশের সকল পর্যায়ে দুর্নীতি দূরীকরণে সরকার বদ্ধ পরিকর। তাই দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করবে। তিনি বলেন, দুর্নীতির পাশাপাশি জঙ্গীবাদ ও মাদকদ্রব্যও দেশের ক্ষতি করছে। তাই দুর্নীতির পাশাপাশি, জঙ্গীবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধেও সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে জনপ্রশাসনে দক্ষতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি দমন ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সরকারের নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা যাতে স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালন করে নাগরিকদের সেবা প্রদান করতে সক্ষম হয় তা নিশ্চিত করা জরুরী। সে লক্ষ্যে জনপ্রশাসনের আইন কানুন বিধি-বিধানের পরিবর্তন ও সংস্কার সাধন করে তা আরো যুগোপযোগী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী এসময় জনগণকে দ্রæততম সময়ে মানসম্মত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহবান জানান।
এতে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ। এখানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর ড. এম আসলাম আলম।
উল্লেখ্য এ বছর দপ্তর/সংস্থা প্রধানদের মধ্য হতে বিয়াম ফাউন্ডেশনের প্রাক্তন মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমান, এনডিসি (বর্তমানে সচিব, সমন্বয় ও সংস্কার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ), গ্রেড-১ হতে গ্রেড-১০ ভুক্ত ক্যাটাগরিতে উর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখার উপসচিব মো. তমিজুল ইসলাম খান এবং গ্রেড-১১ হতে গ্রেড-২০ ভুক্ত ক্যাটাগরিতে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরের অফিস সহায়ক মো. জাকির হোসেন ভূইয়া শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।