নূর মাজিদ : বিশ্বের ৩৬টি দেশের জোট অর্গানাইজেশন অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) সা¤প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই আহŸান জানিয়েছে। গত জুনের মাঝামাঝি টিচার্স অ্যান্ড স্কুল লিডারস অ্যাজ লাইফলং লারনার্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। আলোচিত প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে উচ্চমানের শিক্ষক চাহিদা পূরণে এই পেশায় আরো দক্ষ এবং মেধাবি ব্যক্তিদের আকর্ষণ করার পরামর্শ দেয়া হয়। ওইসিডি ডটওআরজি। প্রতিবেদনটি ওইসিডির, টিচার্স অ্যান্ড লার্নিং ইন্টারন্যাশনাল (টালিস) নামক এক শিক্ষাখাতের জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়। টালিস জরিপ বলেছে, সবচাইতে সেরা এবং মেধাবি ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই বিশ্বের উচ্চমানের শিক্ষক চাহিদাপূরণ করা সম্ভব। এইজন্য তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকেই যোগ্য শিক্ষক তৈরি করতে হবে, তাদের শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি করতে হবে। সেই জন্যেই প্রয়োজন দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, গবেষণা অর্থায়ন সুবিধা এবং অধিক বেতনভাতা। স্বচ্ছলতা এবং মেধাভিত্তিক মুল্যায়নের সুযোগ থাকলে তরুণেরা স্বাভাবিকভাবেই এই পেশায় আসতে আগ্রহী হবেন।
টালিস জরিপে ৪৮টি দেশের ২ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষক এবং প্রাইমারি স্কুলের ১৫ হাজার শিক্ষার্থী প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। আর্থিক বিষয়াবলী এই জরিপের তৃতীয় পর্বে সংযোজন করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের মতামত শীর্ষ নীতি-নির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছে ওইসিডি। এবং একইসঙ্গে, শিক্ষাদান কার্যক্রমে জ্ঞান এবং পেশারাদারিত্ব নিশ্চিত করাও সংস্থাটির মূল উদ্দেশ্য।
ওইসিডি ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল লুডগ্যার স্কুকনেক্ট বলেন, ‘প্রযুক্তির দ্রæত বিকাশ, অর্থনৈতিক এবং সমাজ ব্যবস্থায় আশা পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার এবং উন্নয়নের গুরুত্ব যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি বেড়েছে। সরকারি নীতি-নির্ধারকদের উচিৎ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা। এটা শিক্ষকতার মর্যাদা বাড়াবে আর শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে সফল হওয়ার হার বাড়াবে।’ সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব