নূর মাজিদ : যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের বাণিজ্য আলোচনার সফলতার ওপরেই নির্ভর করবে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দর। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মাঝে বাণিজ্য সংঘাত স্থায়ীভাবে নিরসন হলে বা তেমন সম্ভাবনা দেখা গেলে এটা চলতি বছরের বৈশ্বিক তেলের বাজারের প্রধান প্রভাবক কারণ হিসেবে কাজ করবে। জ্বালানি বাজার পর্যবেক্ষক সংস্থার বিশেষজ্ঞ অমৃতা সেন মার্কিন গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অভিমত ব্যক্ত করেন। সিএনবিসি
অমৃতা এনার্জি আসপেক্ট- নামক সংস্থার প্রধান বাজার বিশে¬ষক। গত মঙ্গলবার তিনি সিএনবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে তেলের দর আশাব্যঞ্জক অবস্থানে থাকবে, দ্বিতীয়ার্ধে কি হবে তা নিশ্চিত হয়। দ্বিতীয়ার্ধে তেলের দর ৬০ ডলারের ঘরে থাকবে কিনা সেটাও নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বিরোধ নি¯পত্তির ওপর।
সৌদিমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করে অমৃতা বলেন, চীনের তেল চাহিদাতে এখনও ধবস নামেনি, এখনও সীমিত গতিতে হলেও চীন প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রেখেছে। এশিয়া এবং ইউরোপের অন্যান্য বড় অর্থনীতিতেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বিরোধ নিরসন কামনা করছি। নাহলে তেলের চাহিদায় রাতারাতি ধ্বস নামবে। তবে বাণিজ্য সমঝোতা হলে, বাজারে আস্থা ফিরবে, বিশ্ব সরবরাহ ব্যবস্থায় নতুন গতি সঞ্চার করবে এমন পদক্ষেপ। ফলে তেলের চাহিদা বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে, যা ৭৫ ডলার ব্যারেলে উন্নীত হতে পারে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব