নূর মোহাম্মদ : আমরা বিচার বর্হিভ‚ত হত্যাকাÐ পছন্দ করিনা। নয়ন বন্ড একদিনে তৈরি হয়নি। কেউ পেছন থেকে তাকে লালন-পালন করেছে, ক্রিমিনাল বানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রিফাত হত্যার আসামিদের বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করলে এসব মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
নির্দেশ অনুযায়ী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বরগুনা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দাখিল করা ওই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন। তিনি আদালতে বলেন, এ মামলার কোনো আসামি দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে পারেনি। শত শত পুলিশ র্যাব মাঠে কাজ করছেন অন্য আসামিদের ধরতে। রিফাত হত্যার সঙ্গে জড়িত এজাহারভ‚ক্ত ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে। তিনি আরও বলেন, আসামি ধরতে অভিযান চালানোর সময় পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালালে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি করতে বাধ্য হয়। পরে গোলাগুলি থেমে গেলে পুলিশ সেখান থেকে নয়ন বন্ডের লাশ সনাক্ত করে।
এসময় আদালত বলেন, আমরা (বিচার বিভাগ) কখনই নির্বাহী বিভাগ যেসব দায়িত্ব পালন করার কথা সেসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। এটা তাদের দায়িত্ব। সেখানে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে তখনই বিচার বিভাগ নির্দেশনা বা হস্তক্ষেপ করে থাকে। তবে আমার এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং পছন্দ করি না। হয়তো প্রয়োজনের খাতিরে, অনেক সময় জীবন বাঁচানোর তাগিদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা করে থাকে। তবে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। আইন যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে সেটা যেন নিশ্চিত হয়।
এর আগে গত ২৭ জুন আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতরা যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্তে রেড এলার্ট জারি করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সম্পাদনা : ইকবাল খান