পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৫ দিন পর ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য
নিনা আফরিন ও উত্তম হাওলাদার : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মানাধীন পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুত কেন্দ্রে ১৫ দিন পর দেশি শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে। এতে কর্মমুখর হয়ে উঠেছে বিদ্যুত কেন্দ্র এলাকা।
গতকাল বুধবার কাজে যোগ দেয়া ৩০৮ বাঙালী শ্রমিকের সেফটি প্রশিক্ষণ ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চায়না শ্রমিকদের সঙ্গে তারা কাজ শুরু করেছে। বিসিপিসিএল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিদ্যুত কেন্দ্র এলাকায় ১২টি ম্যান পাওয়ার এজেন্সিকে শ্রমিক সরবরাহের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। নর্থ ইস্ট (নম্বর-১) ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন লিমিটেড (এনইপিসি) কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে আরো এজেন্সিকে শ্রমিক সরবরাহের অনুমতি দেবে। কাজে যোগ দেয়া শ্রমিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বিসিপিসিএল’র জুনিয়র এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শাহ মনি জিকো জানান, এখন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চীনা ও বাংলাদেশি শ্রমিকের পদভারে মুখরিত। তারা সমন্বিতভাবে বিদ্যুত প্লান্টের নির্মাণ কাজে নিয়োজিত।
নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব রেজওয়ান ইকবাল খান জানান, বাংলাদেশি শ্রমিকদের জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করে তা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হচ্ছে, যাতে কেউ ভুয়া পরিচয় পত্র দিয়ে এখানে কাজ করতে না পারে। এতগুলো শ্রমিকের যাচাই বাছাই করা যেহেতু একটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার তাই আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচিত কিছুসংখ্যক শ্রমিকরা কাজে যোগদান করানো হয়েছে। ৩০৮ জন বাংলাদেশি শ্রমিক পূর্বের মত সেফটি ড্রিল প্রশিক্ষণ শেষে চাইনিজদের সঙ্গে একযোগে কাজ শুরু করেছে।
গত ১৮ জুন পায়রা তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের অভ্যন্তরে এক বাঙালি শ্রমিক নিহতের ঘটনায় সৃষ্ট সংঘর্ষে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে এক চায়না প্রকৗশলী মারা যায়। এ ঘটনার পর থেকে বিদ্যুত কেন্দ্রে এ দেশিয় শ্রমিকদের ১৫দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান