আগামী এক দশকে চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে যাবে স্বাস্থ্য খাতের দক্ষ জনশক্তি
মতিনুজ্জামান মিটু : প্রতি এক হাজার মানুষের জন্য ১:৩:৫ হারে দরকার ১ জন ডাক্তার, ৩ জন নার্স ও ৫জন টেকনিশিয়ান। এর বিপরীতে বর্তমানে দেশে আছে দশমিক ৫৪ : দশমিক ৭৪ জন ডাক্তার ও নার্স।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১১১টি মেডিকেল কলেজ, ৩৬টি ডেন্টাল কলেজ, ৩১৭টি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজ এবং ১০৫টি ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলোজি রয়েছে। মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে ৪২টি সরকারি ও ৬৯টি বেসরকারি, ডেন্টাল কলেজের মধ্যে ৯টি সরকারি ও ২৭টি বেসরকারি, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের মধ্যে সরকারি ৯৯টি এবং বেসরকারি ২১৮টি। মোট ১০৫টির মধ্যে ১১টি সরকারি ও ৯৪টি বেসরকারি ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলোজি রয়েছে।
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মোহা. শাহাদত হোসেন মাহমুদ বললেন, বর্তমানে প্রতি বছর যে হারে ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ান পাশ করে বের হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশের চাহিদা পূরণ করে স্বাস্থ্য খাতের দক্ষ জনশক্তি বিদেশে যাবে। তবে সংখ্যা বাড়াতে যেয়ে যাতে গুণমানের সঙ্গে আপোষ করা ঠিক হবেনা। এই বিষয় মাথায় রেখেই এগোতে পারলে বাংলাদেশ হবে বিশ্ব বাজারে স্বাস্থ্য খাতের দক্ষ জনশক্তি রপ্তানীর অন্যতম দেশ। বর্তমানে ভারত, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর এই বাজার দখলে রেখে স্বাস্থ্য খাতের দক্ষ মানুষের যোগান দিচ্ছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিজ্ঞতা না থাকায় ইসিবি’র প্রধান হিসেবে ল্যাগার্দেকে মানতে চাচ্ছেন না ইউরোপীয় ব্যাংকাররা
আসিফুজ্জামান পৃথিল : ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসিবি’র প্রথম নারী প্রধান হিসেবে মনোনিত হয়েছেন আইএসএফ এর বর্তমান প্রধান ক্রিশ্চিন ল্যাগার্দে। কিন্তু তার রাজনৈতিক অতীত এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনভিজ্ঞতা এই মনোনয়নকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নিয়োগ ইউরোপের ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটির নীতিনির্ধারণকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। এএফপি।
৬৩ বছর বয়সী ল্যাগার্দে মনোনয়েনে বেশ কয়েকটি নিয়ামক ভুমিকা রেখেছে। তিনি একজন সাবেক আর্থিক আইনজীবি, ফরাসী অর্থমন্ত্রী এবং তার ইংরেজি দখল অত্যন্ত ভালো। ল্যাগার্দের আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিষয়ে অত্যন্ত সুক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইইউ ভাবছে ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে তার অভিজ্ঞতা অতি কার্যকর হবে। বিশ^ অর্থনৈতিক মন্দা সমাপ্তির ১ দশক পর, আইএমএফ পরিচালক বেশ সহজ অর্থনীতি পেতে যাচ্ছেন। বেশ শক্তিশালী ইউরোপীয় অর্থনীতি নিয়েই তিনি কাজ শুরু করবেন। তবে ল্যাগার্দে কখনই কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সামলাননি। এ কারণে ইউরোপীয় অর্থনীতিবীদরা বলছেন তার জ্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হবে ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাং সামাল দেওয়া।
কোান কেন্দ্রীয় ব্যাংক সামাল না দিলেও ল্যাগার্দে যথেষ্ঠ দক্ষতার সঙ্গেই আইএমএফকে সামলেছেন। এই সাফল্যে অনুপ্রানিত হয়ে ইইউ ইসিবি’র দায়িত্ব ল্যাগার্দের হাতে ছেড়ে দিতে চায়। সম্পাদনা : ইকবাল খান